নয়াদিল্লি: দেশে করোনায় কমল দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ। সেইসঙ্গে কমেছে দৈনিক সুস্থতাও।


দৈনিক মৃত্যুতে দেশে আজ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।


দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৩৫ জনের। মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৬৫ জন।


গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২১৭ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২২৪।


গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ১৭৭। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৭৮।


তবে এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৯৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৩১০ জন।গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৯২৩ জন। গতকাল দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৯২৬।


দেশে মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ। সুস্থতার হার বেড়ে ৯৬.১৬ শতাংশ।


জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য শুক্রবারই করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।


এই পরিস্থিতিতে আসল ভ্যাকসিন দেওয়ার পর কী ধরনের চ্যালেঞ্জ আসতে পারে তা মেপে নিতেই শনিবার দেশজুড়ে চলল মহড়া।


২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং গুজরাতে এই মহড়া হয়। এবার গোটা দেশের সঙ্গে বাংলার ৩টি কেন্দ্রেও হয় টিকাকরণ প্রক্রিয়ার মহড়া।


প্রত্যেক জায়গায় ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেন মহড়ায়। সকাল সাড়ে নটায় এই প্রক্রিয়া শুরু হলেও তার অনেক আগে থেকে শুরু হয় তৎপরতা। সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে বসানো হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের।


তারপর এক একজন করে তাদের প্রথমে ডেকে নেওয়া হয়। ওয়েটিং রুমে, সেখানে হয় নথি পরীক্ষা। এরপর নিয়ে যাওয়া ভ্যাকসিনেশন রুমে সেখানে হয় স্বাস্থ্যপরীক্ষা। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর স্বাস্থ্যকর্মীকে রাখা হয় অবজার্ভেশন রুমে।


আসল ভ্যাকসিন নয়, ভ্যাকসিন এলে কীভাবে দেওয়া হবে সেটাই এদিন বোঝানো হয়। স্বাস্থ্য আধিকারিক বুঝিয়ে বলেন, কীভাবে মহড়া চলছে। জানান, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের দেওয়া হচ্ছে, মাস্ক পরতে হচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব রাখাত হচ্ছে, মোবাইলে এসএমএস যাবে, পোর্টালে এন্ট্রি করা হবে, প্রসিডিউরের মহড়া নথিভুক্ত করা হচ্ছে।


ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই যিনি নিচ্ছেন তাঁর কাছে এসএমএস যাবে। স্বাস্থ্য কর্তাদের উপস্থিতিতে গোটা পদ্ধতি অনর্ভুক্ত করে রাখা হয় স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে।


ড্রাই রানে যোগ দিতে এসে উচ্ছ্বসিত স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের মতে, কীভাবে টিকাকরণ হতে চলেছে সে সম্বন্ধে অনেকটাই সড়গড় হয়েছেন।


শনিবারের মহড়ার জন্য দেশের ১১৬টি জেলা থেকে বেছে নেওয়া হয় ৯৬ হাজার জন স্বাস্থ্যকর্মীকে। দিন চারেক আগে দেশে প্রথম ড্রাই রান ভালভাবে শেষ হয়। শনিবার দ্বিতীয় ড্রাই রানও হল নির্বিঘ্নে।