কলকাতা: দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনার টিকারণ কর্মসূচি। কোভিড টিকা কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর চতুর্থ দিনে মোট ভ্য়াকসিন প্রাপকের সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার হিসেব অনুযায়ী, দেশে মোট করোনার টিকা প্রাপকের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৩১ হাজার ৪১৭ জন। তবে,  এখনও অনেকের মনে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্র। এবার রাজ্য়গুলোকে এ ব্যাপারে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ার আর্জি জানাল কেন্দ্র।


মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র প্রত্যেক রাজ্যকে আর্জি জানিয়েছে, সকল রাজ্যবাসীর মধ্যে "ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে দ্বিধা" দূর করার জন্য। সেই সঙ্গে শীঘ্রই করোনার টিকাদান অভিযান আরও বাড়ানো হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। দেশের কোভিড -১৯ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্র সরকার মঙ্গলবার জানায়, এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া লোকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সেরকম হচ্ছে না। ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে ০.০৮ শতাংশ প্রতিকূল ঘটনা ঘটেছে। আর এদের মধ্যে ০.০০২ শতাংশ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনআইটিআই-এর সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল বলেন, টিকাদান পরবর্তী সময়ে প্রতিকূল প্রভাব এবং গুরুতর সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ ভিত্তিহীন। উভয় ভ্যাকসিনই নিরাপদ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, ভারত কোভিড -১৯ টিকা দেওয়ার জন্য প্রথম দিনের সবচেয়ে বেশি টিকা দেওয়ার রেকর্ড করেছে।

ভি কে পল বলেছেন, “ভারতে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাঁরা সামনে থেকে লড়াই করছেন, সেই সমস্ত কর্মীদের টিকাদানের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও, তাঁদের মধ্যে কেউ যদি এটি নিতে দ্বিধা বোধ করেন, বিশেষত চিকিৎসক এবং নার্সরা, তবে এটি হতাশাজনক। কয়েক দিনের মধ্যে ভারত তার সমস্ত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। কোনও কারণে বিভ্রান্ত হওয়া ঠিক হবে না। স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মধ্যে ভ্যাকসিনের দ্বিধা অবসান হওয়া উচিত।"

দেশজুড়ে ভ্যাকসিন বিতর্কের মাঝেই মঙ্গলবার আরও ৪৫ লক্ষ কোভ্যাক্সিন (Covaxin) ডোজ কেনার ‘লেটার অফ কমফোর্ট’ দেওয়া হয়েছে ভারত বায়োটেককে। কেন্দ্রের তরফে এই নতুন বরাত দেওয়া হয়েছে, সূত্র মারফত এমনটাই খবর।