নয়াদিল্লি: দিল্লির মহল্লা ক্লিনিকের এক চিকিত্সকের করোনাভাইরাস টেস্ট পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। এরপরই তাঁর সংস্পর্শে আসা প্রায় ৯০০ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন দিল্লির এক মন্ত্রী। গত ১০ মার্চ সৌদি আরব থেকে ফিরে এক মহিলা কোভিড-১৯-এর উপসর্গ নিয়ে ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই সংক্রমণের এই শৃঙ্খলের সূত্রপাত।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, তাঁদের সবাইকে ১৪ দিনের জন্য বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছে। দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬।
ওই চিকিত্সকের স্ত্রী ও কন্যারও বুধবার কোভিড-১৯ টেস্ট পজিটিভ এসেছে।
সৌদি ফেরত ৩৮ বছরের মহিলা গত ১২ মার্চ ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। পাঁচদিন পর তাঁর টেস্ট পজিটিভ হয়। ওইদিনই ওই চিকিত্সককেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই মহিলার প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসা আরও পাঁচজনের ভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে। এই পাঁচজন- মহিলার মা, ভাই ও দুই কন্যা এবং দিল্লি বিমাবন্দরে তাঁকে নিতে আসা এক ব্যক্তি। মহিলার প্রতিবেশী ৭৪ জনের দিকেও নজর রাখা হয়েছে।
এই ঘটনা সত্ত্বেও দিল্লিতে মহল্লা ক্নিনিকগুলি খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি বলেছেন, ক্লিনিকগুলি খোলা না থাকলে দরিদ্রদের হাসপাতালে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। কিন্তু হাসপাতাল অনেক দূরে ও যাতায়াতও ব্যয়সাপেক্ষ। তবে ক্লিনিকগুলিতে পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মহল্লা ক্নিনিক হল স্থানীয় গোষ্ঠী স্বাস্থ্য কেন্দ্র। প্রধানত আর্থিকভাবে দুর্বলদের কথা মাথায় রেখেই এই ক্লিনিকগুলি গড়ে তুলেছে দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকার।
ঘণবসতিপূর্ণ মৌজপুর এলাকায় ভাইরাস কোনওভাবে ছড়িয়ে পড়লে তা গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি সরকার গত ১২ মার্চ থেকে ১৮ মার্চের মধ্যে যাঁরা ওই ক্লিনিকে এসেছিলেন, তাঁদের ১৫ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।