নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা নামে সরকারের ত্রাণ প্যাকেজের আওতায় দেশের ২০ কোটি দরিদ্র মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা করে আসতে শুরু করছে শুক্রবার থেকে। এরফলে ব্যাঙ্কগুলিতে সেই টাকা তোলার জন্য  উপকৃতদের ভিড় জমতে পারে।এ জন্য এক দফাতেই যাতে সেই ভিড় না জমে তা নিশ্চিত করতে ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার আওতায় খোলা অ্যাকাউন্টগুলিতে ওই অর্থ জমা পড়বে।


ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে সেজন্য অর্থমন্ত্রকের অধীন আর্থিক পরিষেবা বিভাগ বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে।  ব্যাঙ্কগুলিকে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গ্রাহকদের বিভিন্ন দিনে আসতে বলতে হবে। উদাহরণ হিসেবে যাঁদের অ্যাকাউন্ট নম্বরের শেষে ০ বা ১ রয়েছে,তাঁদের শুক্রবার, যাঁদের অ্যাকাউন্ট নম্বরের শেষে ১ বা ২ রয়েছে , তাঁদের শনিবার এবং এভাবে পরপর সাজিয়ে গ্রাহকদের ধাপে ধাপে নির্দিষ্ট দিনে আসতে বলার কথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বৃহস্পতিবার রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে ভিড় এড়াতে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার উপকৃতদের জন্য তহবিল ধাপে ধাপে ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

এই যোজনার আওতায় উপকৃত মহিলারা আগামী তিন মাসে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন। কোভিড-১৯ অতিমারির ধাক্কা সামলাতে তাঁদের এই অর্থ দেওয়া হবে।

এই পদক্ষেপের কথা গত ২৬ মার্চ ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপ কঠিন সময়ে সংসার চালানোর ক্ষেত্রে ওই মহিলাদের সাহায্য করবে।  এই নগদ হস্তান্তরের জন্য সরকার ৩১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে।

এই ঘোষণার পরই উপকৃতদের অনেকেই ভেবেছিলেন যে, তাঁদের অ্যাকাউন্টে এই অর্থ এসেছে। এ কথা ভেবে তাঁরা ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে গিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ অর্থমন্ত্রক এক বিবৃতিতে ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে ভিড় না জমানোর অনুরোধ করেছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, অর্থ হস্তান্তরের দিন ও সময় তাঁদের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

যে কোনও সময়ই এই টাকা তোলা যাবে-এ কথা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের জানিয়ে দিতে ব্যাঙ্কগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

ব্যাঙ্কের শাখাগুলির সামনে যাতে আইন-শৃঙ্খলা বজায় থাকে তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েনের জন্য সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিবদের চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা।