পানাজিবাকি আর মাত্র একটা টেস্ট। তার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই গ্রিনজোন বা করোনা সংক্রমণমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হতে পারে গোয়াকে। যদিও  বিরোধী দলগুলির মতেগ্রিনজোন ঘোষণা করার আগে পর্যাপ্ত টেস্ট করা উচিত সরকারের। আর তা না করে এখনই  গ্রিনজোন ঘোষণা করে লকডাউনে ছাড় দিলে বাড়বে সংক্রমণের আশঙ্কা।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে জানানগোয়ার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন একমাত্র করোনা আক্রান্ত। আজ করোনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কেন্দ্রের নিয়মানুসারে আগামী ২৪ ঘন্টায় তাঁকে আবার পরীক্ষা করা হবে। সেই টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে সম্পূর্ণ করোনামুক্ত বলা যাবে তাঁকে। এই পরীক্ষার রিপোর্টের ওপরেই নির্ভর করছে গোয়াকে করোনা সংক্রমণমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা যাবে কি না!

যদিও রানে জানানআগামী টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট এলেও আরও ১৪ দিন বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে ওই ব্যক্তিকে। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যাবেন তিনি।

গোয়ার দক্ষিণাংশকে ইতিমধ্যেই করোনামুক্ত এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। শেষ আক্রান্তের রিপোর্ট নেগেটিভ এলে  গ্রিন জোনের আওতায় চলে আসবে উত্তরাংশও।

গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত জানানএপ্রিলের ৩ তারিখের পর থেকে রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর আসেনি। শেষ ৭ জন আক্রান্তের মধ্যে ৬ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত বাড়িতেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তাঁরা। এদের প্রত্যেকেরই বিদেশ সফরের ইতিহাস ছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানানদুজন করোনার লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে মারা যান।

যদিও রাজ্যকে করোনামুক্ত ঘোষণার জন্য সরকার 'তাড়াহুড়ো করছেবলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির প্রধান বিজয় সারদেশাই বলেন, 'রাজ্যকে করোনামুক্ত ঘোষনা করার জন্য সরকার যে রিপোর্ট পেশ করেছে তা সম্পূর্ণ ভুল এবং গোয়ার বাসিন্দাদের পক্ষে মারাত্মক বিপজ্জনক। কারণসম্প্রতি সমীক্ষায় উঠে এসেছেগোয়ার প্রায় ৩০০০০ এরও বেশি মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে।'

তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সবন্ত সরকার জানিয়েছেপর্যাপ্ত ও বিজ্ঞানভিত্তিক টেস্টের  পরই গোয়াকে  গ্রিন জোন বা করোনা সংক্রমণ মুক্ত এলাকা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।