গেটস বলেছেন, আলোচনা ও অংশীদারিত্বের জন্য ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দরকার আন্তর্জাতিক সমন্বয়। এই অতিমারির প্রকোপের সামাজিক ও আর্থিক প্রভাব যতটা সম্ভব কম রাখার চেষ্টা করতে হবে। একইসঙ্গে ভ্যাকসিনের পথ প্রশস্ত করা, পরীক্ষা ও সকলের জন্য চিকিত্সার ব্যবস্থার প্রচেষ্টাও চলছে। এসব ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার মোদি গেটসের সঙ্গে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বের ভূমিকা ও অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সমন্বয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই সংকট নিয়ে ভারতের সচেতন দৃষ্টিভঙ্গির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। উপযুক্ত বার্তার মাধ্যমে জনগণকে সামিল করে এই সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে ভারত। পিএমও-র প্রেস বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
তিনি জানান যে, মানুষকে সামিল করে চলার এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সামাজিক দূরত্ব পালন, প্রথম সারির কর্মীদের প্রতি মর্যাদা, মাস্ক পরা, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং লকডাউনের বিধি পালনের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে।
কোভিড পরবর্তী পর্বে জীবনযাপন, আর্থিক সংগঠন, সামাজিক আচরণ, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষার প্রসারের ধরনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের বিশ্লেষণ এবং আনুষঙ্গিক প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে গেটস ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।এ ধরনের বিশ্লেষণের কাজের ক্ষেত্রে নিজস্ব অভিজ্ঞতা দিয়ে অবদান রাখতে পারলে ভারত খুশি হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।