থানে:  এক প্রবীণ আইএএস আধিকারিকের থেকে সাত কোটি টাকা আদায়ের জন্যে চাপ দিচ্ছিলেন পেশায় গোয়েন্দা এক ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী। অবশেষে মহারাষ্ট্র পুলিশের জালে সেই দম্পতি। গতকাল থানে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত দম্পতিকে। সতীশ মঙ্গলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সাসপেন্ড হওয়া আইএএস রাধেশ্যাম মোপালওয়ারের ওপর থেকে দুর্নীতির সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে, এই বিশাল অঙ্কের টাকা দাবি করেন। সাসপেন্ড হওয়া আধিকারিক যদি সেই টাকা দিতে না পারেন, তাহলে তাঁর ফোন কলের রেকর্ড ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেন অভিযুক্ত গোয়েন্দা।

প্রসঙ্গত, এই বছর অগাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে মহারাষ্ট্র স্টেট রোড ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের নির্দেশে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রবীন ওই আইএসএসকে। মূলত সতীশ মঙ্গলেই কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁস করে দেন, যার ভিত্তিতেই ওই আইএএসকে সাসপেন্ড করা হয়। মূলত একটি জমির ব্যাপারে চুক্তি করতে টাকা চেয়েছিলেন ওই আধিকারিক।

সেই সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর ওপর থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েই টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন প্রাইভেট গোয়েন্দা সতীশ এবং তাঁর স্ত্রী শ্রদ্ধা। ডম্বিভালি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত দম্পতিকে। দম্পতির ভাড়ার ফ্ল্যাট থেকে দুটি ল্যাপটপ, পাঁচটি মোবাইল হ্যান্ডসেট, চারটে পেন-ড্রাইভ, ১৫ টি সিডি এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ক্রমাগত হুমকি দেওয়ার জন্যে থানে পুলিশের দ্বারস্থ হন সাসপেন্ড হওয়া আইএএস। গত ২৩ অক্টোবর নাসিক জাতীয় সড়কের কাছে খাড়েগাঁও টোল প্লাজায় ওই বিশাল অঙ্কের টাকা নিয়ে আসার কথা ছিল আইএএস-এর। কিন্তু সেই ফোন কলের রেকর্ডগুলো আধিকারিক থানে পুলিশকে দিয়ে দেন।

এর আগে মিস্টার মোপালওয়ারের একটি ফোনের রেকর্ডিং মিডিয়ার সামনে ফাঁস করে দিয়েছিলেন ওই গোয়েন্দা। সেখানে সাসপেন্ড হওয়া আধিকারিককে বলতে শোনা গিয়েছে সরকারি স্তরে কোনও কাজ হওয়ার জন্যে ঘুষ দেওয়া জরুরি। তখনই সেই ক্লিপ ফেরাতে আধিকারিকের থেকে দশ কোটি দাবি করেছিলেন ওই দম্পতি।