নয়াদিল্লি: ২০০৫ সালে দেওয়ালির আগে রাজধানী দিল্লিতে সিরিয়াল বিস্ফোরণের ঘটনায় মহম্মদ রফিক শাহ ও মহম্মদ হুসেইন ফজলি, এই দুই অভিযুক্তকে যাবতীয় দায় থেকে অব্যাহতি দিল দিল্লির আদালত। আজ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক রীতেশ সিংহ জানান, সরকারপক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যে, ওই দুজন নাশকতায় যুক্ত ছিল।

তবে তারিক আহমেদ দার নামে তৃতীয় অভিযুক্তকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্য হওয়ার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। তাকে বেআইনি কার্যকলাপ  রোধ আইনের(ইউএপিএ) ৩৮ (সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সদস্য হওয়া) ও ৩৯ (সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া) ধারায় দোষী সাব্যস্ত  করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট অপরাধে সর্বোচ্চ যে ১০ বছরের কারাবাসের সাজার বিধি রয়েছে, সে ইতিমধ্যেই তার বেশি সময় জেলে কাটিয়ে ফেলেছে বলে জানিয়ে তাকেও রেহাই দেন তিনি।



২০০৫-এর ২৯ অক্টোবর সরোজিনী নগর, পাহাড়গঞ্জ ও কালকাজি, এই তিন স্থানে বিস্ফোরণে ৬৭টি জন প্রাণ হারিয়েছিলেন, ২২৫ জনেরও বেশি জখম হয়েছিলেন।

ফারুক আহমেদ বাতলু ও  গুলাম আহমেদ খান নামে দুজন আগেই দোষ কবুল করে। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থের জোগান দেওয়ার অভিযোগ ছিল। তারাও জেলের মেয়াদ কাটিয়ে ফেলায় ছাড়া পেয়ে যায়। সরকার পক্ষের বক্তব্য, আবু ওজাফা, আবু আল কামা, রশিদ, সাজিদ আলি ও জাহিদ এই ৫ জনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ফৌজদারি চক্রান্তে সামিল হওয়া ও সিরিয়াল বিস্ফোরণের ছক কষার অভিযোগ ছিল দারের বিরুদ্ধে। ওই ৫ জন এখনও বেপাত্তা, পাকিস্তান  অধিকৃত  কাশ্মীরে লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর।

সরকার পক্ষের দাবি, রাজধানীতে বিস্ফোরণের চক্রান্ত ও বিস্ফোরণ ঘটাতে লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে ছক কষেছিল দার।