নয়াদিল্লি: ছেলে ও পুত্রবধূর দ্বারা বাড়ি থেকে বিতাড়িত এক বৃদ্ধা বিধবা মহিলার সহায়তায় এগিয়ে এল আদালত। ওই বৃদ্ধার ছেলে ও তাঁর স্ত্রীকে বিচারকের নির্দেশ, অবিলম্বে মাকে বাড়ি খালি করে দিন। রায় শোনাতে গিয়ে বিচারকের উষ্মা, ‘বৃদ্ধ অভিভাবকদের জব্দ এবং চুপ করাতে’ এখন পারিবারিক হিংসা ও পণরোধ আইনের আকছার অপব্যবহার হচ্ছে।


এদিন জনৈক মহিলা শান্তি দেবীর আবেদনের ভিত্তিতে আদালতে শুনানি চলছিল। মধ্য দিল্লি নিবাসী ওই মহিলার দুটি স্থাবর সম্পত্তির অধিকারী। অভিযোগ, ছেলে ও পুত্রবধূ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। যার ফলে, এই অবস্থায় আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা।


অতিরিক্ত জেলা বিচারক কামিনী লাও বলেন, জীবন কোনও সিঁড়ি নয়। জীবন একটা চাকা, যা ঘুরে ফিরে আসে। পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের আর্থিক বা মানসিকভাবে বঞ্চিত হতে দেখতে পারে না আদালত। বিশেষ করে এমন একটা সময়ে যখন বাকিদের সঙ্গ তাঁদের দরকার।


এদিন মহিলার পুত্রকে আদালত নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে বাড়ি মাকে ফিরিয়ে দিতে। একইসঙ্গে, মামলা শুরু হওয়া থেকে বাসস্থান ফেরানো পর্যন্ত যত সময় অতিক্রান্ত হয়েছে বা হবে, মাস প্রতি ৫ হাজার টাকা করে হিসেবে মহিলাকে ক্ষতিপূরণও দিতে ছেলেকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


বিচারক যোগ করেন, বৃদ্ধ বাবা-মার ওপর সন্তানরা যদি অনপুযুক্ত এবং বেআইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে, তা আটকাতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে আদালত। বিচারক মনে করিয়ে দেন, আমরা একটা জিনিস ভুলে যাই। তা হল, যে সময় বৃদ্ধ বাবা-মার আমাদেরকে প্রয়োজন, সেই সময় আমরা যদি তাঁদের দেখভাল না করি, তাহলে আমাদের সন্তানরাও ভবিষ্যতে একই কাজ করবে।