নয়াদিল্লি: ২০০৫ সালের সন্ত্রাসে অর্থ ঢালার অভিযোগ সংক্রান্ত এক মামলায় কাশ্মীরী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাবির শাহ, অভিযুক্ত হাওলা কারবারী মহম্মদ আসলাম ওয়ানির বিরুদ্ধে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের চার্জ দিল দিল্লির আদালত। চার্জ গঠন করেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সিদ্ধার্থ শর্মা। দুজনেই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে বিচার চান।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সাবিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। চার্জশিটে পাকিস্তানের মদতপ্রাপ্ত সন্ত্রাসবাদী নেতা হাফিজ সঈদের সঙ্গে যোগসাজশ রাখায় অভিযুক্ত হন তিনি। চার্জশিটে নাম ছিল ওয়ানিরও। দুজনেই রয়েছেন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। ১৯ জন সাক্ষীর বয়ানের উল্লেখ ছিল চার্জশিটে। ৭০০ পৃষ্ঠার বেশি সেই চার্জশিট বিবেচনার মধ্যে রেখেছে আদালত।
বেআইনি আর্থিক লেনদেন রোধ আইনে পেশ করা চার্জশিটে ইডি সাবিরের বিবৃতি নথিবদ্ধ করে। অভিযোগ, সাবির বিবৃতিতে তদন্তকারীদের বলেন, তাঁর নিজের আয় বলতে কিছুই নেই, তিনি কোনও আয়কর রিটার্নও জমা দেন না। ইডি-কে ওয়ানি জানান, তিনি 'সাবিরের নির্দেশে' ২০০৩-এর এপ্রিলে শ্রীনগর থেকে দিল্লি আসেন, সে-ই তাঁর প্রথম সাবিরের সঙ্গে সাক্ষাত্। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, ওয়ানিকে তাঁর হয়ে কমিশনের বিনিময়ে কাজ করতে বলেছিলেন সাবির, তাঁকে দিল্লিতে হাওয়ালার টাকা সংগ্রহ করে শ্রীনগরে তাঁকে পৌঁছে দিতে বলেছিলেন।
ঘটনাটি ২০০৫-এর আগস্টের। এ ব্যাপারে ওয়ানিকে আগে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তখন ওয়ানি দাবি করেছিলেন, তিনি সাবিরকে ২.২৫ কোটি টাকা দিয়েছেন। তারপরই ২০০৭ সালে দুজনের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক কারবার রোধ আইনে ফৌজদারি মামলা করে ইডি। ওয়ানিকে শ্রীনগরে ৬ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়। সে সময় তাঁর কাছে ৬৩ লক্ষ টাকা ও কিছু অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল। উপসাগরীয় এলাকা থেকে হাওয়ালা চ্যানেল মারফত্ নাকি তিনি ওই অর্থ পান। জেরায় তিনি পুলিশকে জানান, সাবিরকে ৫০ লক্ষ, শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদ আবু বকরকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা, বাকিটা তাঁর কমিশন। ২০১০ সালে দিল্লির এক আদালত অবশ্য ওয়ানিকে সন্ত্রাসে অর্থ দেওয়ার অভিযোগ থেকে রেহাই দেয়, তবে তাঁকে অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত করে।