নয়াদিল্লি: ৭ আগস্ট পর্যন্ত এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় গ্রেফতারি থেকে অব্যাহতি পি চিদম্বরমকে। সিবিআইয়ের দায়ের করা এই মামলায় আগাম জামিনের আর্জি জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের এই প্রথম সারির নেতা। বিশেষ সিবিআই বিচারক ও পি সাইনি সিবিআইকে সময় দিয়েছেন চিদম্বরমের আবেদনের জবাব দিতে, ততদিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করতে বারণ করেছেন তাদের। সিবিআই তাঁকে এই মামলায় গ্রেফতার করতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়ে চিদম্বরম নিজের কৌঁসুলি কপিল সিবাল মারফত আদালতে বলেন, আমায় গ্রেফতার করা থেকে ওদের কেউই আটকাবে না। আমায় অকারণে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সিবিআই চিদম্বরমকে শুধু ২০১৪-য় একবার জেরার জন্য ডেকেছিল, তারপর আর ডাকেনি বলেও আদালতে জানান সিবাল।
চিদম্বরমের আবেদন ধোঁপে টিকবে না, তিনি গ্রেফতারির আশঙ্কার সমর্থনে কোনও প্রমাণ পেশ করেননি বলে সওয়াল করে সিবিআই। তারা চিদম্বরমের আবেদনের বিস্তারিত জবাব পেশ করার জন্য আরও সময় চায়। আদালত ৭ আগস্ট পর্যন্ত বিষয়টি মুলতুবি রাখে।
গত ১৯ জুলাই পেশ করা চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তির নাম করে সিবিআই। বিশেষ বিচারকের সামনে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেয় তারা। সিবিআই খতিয়ে দেখছে, কীভাবে চিদম্বরম ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসাবে একটি বিদেশি ফার্মকে বিদেশি বিনিয়োগ প্রমোশন বোর্ডের অনুমোদন মঞ্জুর করেন, যেখানে একমাত্র আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটিরই তা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল।



এদিকে আইএনক্স মিডিয়া মামলায় কার্তি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের জারি করা লুক আউট সার্কুলার খারিজ করে দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কার্তি গত বছর ওই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে যে পিটিশন দেন, তা গ্রহণ করেছে হাইকোর্টের বেঞ্চ। যদিও এই মামলায় কার্তির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের ভিত্তিতে সিবিআই পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ।
চিদম্বরম কেন্দ্রে অর্থমন্ত্রী থাকার সময় আইএনএক্স মিডিয়াকে ২০০৭ সালে ৩০৫ কোটি টাকা বিদেশি অর্থ গ্রহণের ব্যাপারে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ডের ছাড়পত্র দেওয়ায় অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় কার্তিকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। তবে ২৩ মার্চ তিনি জামিন পান। কার্তিকে আজ বিদেশ যাত্রার অনুমতিও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৩ থেকে ৩১ জুলাই ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকা যাত্রায় সম্মতি পেয়েছেন তিনি। তবে তাঁকে আগের দেওয়া শর্তগুলি মানতে হবে, জানিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।