সূত্রের খবর, এনআইএ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিশেষ আদালতে তাকে পেশ করা হয় আজ। জেলা বিচারক অমর নাথের সামনে ইন ক্যামেরা শুনানির সময় এনআইএ-র তরফে জানানো হয়, বাহাদুরের কাছে একটি ডায়েরি আছে, যাতে এমন কিছু সাংকেতিক লেখা রয়েছে যার মর্মোদ্ধার করা দরকার। সেটা করা গেলে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের স্বরূপ উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে। বাহাদুর ও তার সঙ্গীদের প্ল্যান বোঝা যাবে। আদালত বাহাদুরকে আরও জেরা করার এনআইএ-র আর্জি মেনে নিয়ে সিল করা ডায়েরিটি তদন্ত সংস্থার হাতে তুলে দেয়।
গতকালই এনআইএ বাহাদুরের স্বীকারোক্তির ভিডিওকে হাতিয়ার করে দাবি করে, কাশ্মীরে চলতি অশান্তির পিছনে মদত, উসকানি দিচ্ছে লস্কর। তারা এও জানায়, চলতি বছরের গ্রীষ্ম থেকেই সীমান্তে মোতায়েন থাকা পাক বাহিনীর সাহায্যে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীটি সশস্ত্র জঙ্গিদের ভারতে ঢুকিয়ে দিতে থাকে। তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়, কাশ্মীরে স্থানীয় মানুষের মধ্যে মিশে গিয়ে অশান্তি পাকিয়ে পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করতে হবে। এর আগে এনআইএ আদালতে বলেছিল, বাহাদুর তার সঙ্গীদের নিয়ে ভারতের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব বানচাল করতে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষেছে।
এদিকে বাহাদুরের নিজে হাতে লেখা একটি চিঠি আজ পাকিস্তান হাই কমিশনকে দিয়েছে ভারত। বাহাদুর ভারতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনারকে উদ্দেশ্য করে লেখা সেই চিঠিতে আইনি সহায়তা চেয়েছে। সূত্রের খবর, চিঠিতে সে পাকিস্তানের কোথায় তার বাড়ি, সে ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়েছে, যা থেকে সে যে সে দেশেরই নাগরিক, এটা স্পষ্ট প্রমাণিত হচ্ছে। ভারতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান চাইলে তাদের কনস্যুলেটের লোকজনকে বাহাদুরের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।