মুম্বই: রাতারাতি চতুর্দিকে গজিয়ে উঠছে কোচিং সেন্টার। প্যাকেজ সিস্টেমে চলছে পড়াশোনা। নির্দ্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে লক্ষ্যপূরণের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু সত্যিই কী পূরণ হচ্ছে স্বপ্ন! নাকি প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ সেন্টারগুলি।

এরকমই এক ঘটনার শিকার হয়েছেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী অভিব্যক্তি বর্মা। অঙ্ক ও রসায়ন বিষয়ে আরও ভালো ফল করতে ২০১৩-তে আন্ধেরির অক্সফোর্ড টিউটরস্ অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন তিনি। ৩.৬৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভালো নম্বর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, যে মেয়েটির এসএসসি বোর্ডে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৮৩ শতাংশ, এইচএসসি পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেণির নম্বরও পাননি।

এই ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়েন তাঁর মা নিনা। কিন্তু তিনিও নাছোড়বান্দা। দ্বারস্থ হন কনসিউমার কোর্টের। এরই প্রেক্ষিতে আদালত ওই সেন্টারকে ৩.৬৪ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

ওই সেন্টারের দাবি, তাদের কোচিং ক্লাসে অভিজ্ঞ শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ দেয়। কিন্তু মেয়েটির দাবি, দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রায় একমাস সেখানে কোনও রসায়নের শিক্ষকই ছিলেন না। যিনি ছিলেন, তিনি এতটাই ধীরগতিতে পড়াতেন যে, পুরো পাঠক্রম শেষ করতে পারেননি। রসায়নে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, যিনি অঙ্ক করাতেন, তাঁর পড়ানোর মাধ্যম ছিল হিন্দি। ইংরেজিতে না পড়ানোয় ধরতে অসুবিধা হত অভিব্যক্তির।

এই নিয়ে ভীষণই চিন্তায় ছিলেন ওই পড়ুয়া ও তাঁর মা। এমনও সময় গেছে, যে, মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষ মুহূর্তে শিক্ষক পরিবর্তন করে সেন্টার। গোটা ঘটনার জন্য ওই স্টাডি সেন্টারকেই দায়ী করেছেন অভিব্যক্তি ও তাঁর পরিবার।

ওই সেন্টারকে ৫৪০০০ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কনসিউমার ফোরাম। এছাড়াও কোর্টের খরচ বাবদ ১০,০০০ টাকাও ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই সেন্টারকে।