নয়াদিল্লি: দেশে তৈরি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের প্রথম দফার পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফলে তা নিরাপদ বলেই মনে করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। সার্স-কোভ-২ ( যে ভাইরাসের কারণে কোভিড-১৯ রোগ হয়) -এর বিরুদ্ধে ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও ন্যাশনাল ইন্সস্টিটিউট অফ ভায়রোলজি (এনআইভি)-র সঙ্গে অংশীদারীতে তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষার পরবর্তী পর্ব শুরু হবে আগামী মাসে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী রোহতকের পিজিআই-এর পরীক্ষার নেতৃত্বদানকারী প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. সবিতা ভার্মা বলেছেন, এই কেন্দ্রে যে স্বেচ্ছাসেবকরা এই ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন, তাঁদের শরীরে কোনও ক্ষতিকারক প্রভাব দেখা যায়নি। এর থেকেই ইঙ্গিত মিলেছে যে, এই ভ্যাকসিন নিরাপদ।
প্রতিবেদন অনুসারে, স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে পরীক্ষার অনুসন্ধানকারীরা ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছেন।
ভার্মা বলেছেন, এখনও পর্যন্ত যে জানা গেছে, তাতে এই ভ্যাকসিন নিরাপদ। দ্বিতীয় ধাপে যাবে তা কতটা কার্যকরী। এজন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
প্রথম দফার পরীক্ষায় ১২ টি কেন্দ্রে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার কাজ চলছে। অগাস্টের শেষের দিকে এই পর্ব সম্পূর্ণ হবে। পরীক্ষা সফল হলে আগামী বছরের প্রথমার্ধে তা প্রস্তুত হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্য এক অনুসন্ধানকারী।
দিল্লির এইমসের পরীক্ষার প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর সঞ্জয় রাই ওই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের প্রস্তুতি চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও রোগীর অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। এটা নিরাপদ। এইমসে প্রথম পর্বের পরীক্ষা চলছে।
এরইমধ্যে জানা গেছে, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষার কাজের প্রস্তুতি শুরু করেছে। বেশিরভাগ কেন্দ্রেই প্রথম পর্বের পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম পর্বের পরীক্ষার ফলাফল খুব শীঘ্রই জমা পড়বে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, তিনটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এগুলি হল ভারত বায়োটেক-আইসিএমআর এর কোভ্যাক্সিন, জাইডাস ক্যাডিলার জাইকোভ-ডি এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার সিএইচএডিওএক্স১এনকোভ-১৯ ( ভারতে বলা হচ্ছে কোভিশিল্ড)। কোভিশিল্ডের পরীক্ষা ও উত্পাদন করছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট। ভারতে ২ ও ৩ পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য ইনস্টিটিউটকে অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই। খুব শীঘ্রই এর পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।