নয়াদিল্লিহাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে মুসলিম রোগীদের করাতে হবে করোনা টেস্ট। তার রিপোর্ট দেখার পরই রোগীকে ভর্তি নেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশের এক হাসপাতালের এমন বিজ্ঞাপনে গোটা দেশ তোলপাড় হয়ে যায়। বিষের আবহে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদ্বেষও? প্রশ্ন তুলে যোগী রাজ্যের এই ঘটনার সমালোচনায় সরব হন সমাজের সব স্তরের মানুষ। এরপরই গতকাল ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। এই প্রেক্ষাপটেই আজ দীর্ঘ লেখায় বিশ্বজনীনতার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


লিঙ্কড ইন-এ তিনি লেখেন, “কোভিড-১৯ কোনও জাতি, ধর্ম, বর্ণ কিংবা বেড়াজাল দেখে না। এই সময়ে আমাদের সৌভ্রাতৃত্বের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে।  গোটা পৃথিবী এখন একই সঙ্কটের সম্মুখীন। আমাদের ভবিষ্যৎ হবে এক সঙ্গে থাকা ও সহনশীলতার।”





প্রসঙ্গত, তবলিঘি জামাত আয়োজিত নিজামুদ্দিনের ঘটনাকে সামনে রেখে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের যেন কোনও ভাবেই দাগিয়ে না দেওয়া হয়, সেজন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন  করেছে একটি মুসলিম সংগঠন। নিজামুদ্দিনের ঘটনার সঙ্গে করোনাকে এক সুতোয় গেঁথে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্যই আর্জি জানানো হয়েছে।


এই মুহূর্তে ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ১১৬। মৃত্যু হয়েছে ৫১৯ জনের। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। পরিস্থিতি মোকবিলায় প্রতিনিয়ত বৈঠক করছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।


ওই লেখায় নতুন সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন “সঙ্কটের সময়ে নতুন নতুন সম্ভাবনার জন্ম হয়। এটাই শ্রেষ্ঠ সময়, সম্ভাবনার মূল্যায়ন করে তা কাজে লাগানোর। কীভাবে আমাদের দক্ষতা, ক্ষমতার সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার করা যায়, তা ভাবুন।” নরেন্দ্র মোদির বিশ্বাস, কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইযে ভারতের উদ্যমী এবং উদ্ভাবনী তরুণ সমাজই পথ দেখাবে।