নয়াদিল্লি:ইংল্যান্ডে নতুন করে ত্রাসের সঞ্চার করেছে  করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেইন। তা আরও বেশি সংক্রামক বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেন থেকে  সমস্ত উড়ান স্থগিত করল ভারত। এর আগে কানাডা, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ডেনমার্কের মতো দেশ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই দেশগুলিও সাময়িকভাবে  ব্রিটেন থেকে আসা উড়ান স্থগিতের কথা জানিয়েছে। এই তালিকায় এবার যোগ হল ভারতেরও নাম। ব্রিটেন থেকে আসা বিমানে এই নয়দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে ২২ ডিসেম্বর রাত ১১.৫৯ থেকে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১.৫৯ পর্যন্ত।


অসামরিক পরিবহণমন্ত্রক জানিয়েছে, ব্রিটেনে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে  ব্রিটেন থেকে ভারতে বিমান  পরিষেবা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।

এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল করোনাভাইরাসের এই নয়া মিউটেশন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং ওই দেশ থেকে আসা সমস্ত উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। একই অনুরোধ করেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌতও।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছেন, সরকার ব্রিটেনে মিউট্যান্ট করোনাভাইরাসের স্ট্রেইনের সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক এবং আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সমস্ত ট্রানজিট ফ্লাইটে ব্রিটেন থেকে যে সব যাত্রীরা ২২ ডিসেম্বরের রাত ২৩.৫৯ টা পর্যন্ত সময়ে ভারতে পৌঁছবেন, তাঁদের সংশ্লিষ্ট  বিমানবন্দরগুলিতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

করোনার নয়া স্ট্রেইন সংক্রান্ত ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে ব্রিটেন তাদের রেল পরিষেবাতেও নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে। এদিকে, অস্ট্রিয়া ও ইতালি বলেছে যে, তারা ব্রিটেন থেকে আসা বিমান পরিষেবা স্থগিত রাখবে। তবে এর মেয়াদ কতদিনের হবে, সে বিষয়ে তারা নির্দিষ্টভাবে কিছু জানায়নি। ইতালির বিদেশমন্ত্রী ট্যুইট করে বলেছেন, করোনাভাইরাসের নয়া ধরন থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। চেক প্রজাতন্ত্র ব্রিটেন থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের নিয়ম চালু করেছে।