নয়াদিল্লি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় কোটি ছুঁতে চলেছে ভারতে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ১০ জন। যার ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা আপাতত প্রায় ৯৭ লক্ষ। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ৯৫ শতাংশই কাটিয়ে উঠেছেন করোনার ধাক্কা। করোনা সংক্রমণের নিম্নগামী গ্রাফের মাঝেই সুখবর শোনাল দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ২৯১ জনের সুস্থতা মিলিয়ে ভারতে করোনা ধাক্কা কাটিয়ে প্রায় ৯৪ লক্ষ ৪৯ হাজার জনই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। গোটা বিশ্বে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার নিরিখে ভারতই শীর্ষে।




বিশ্বে যে দেশগুলিতে সবথেকে বেশি থাবা ফেলেছে করোনা, সেই দেশগুলির অবস্থা ঠিক কীরকম! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুস্থতার শতাংশ ৫৮.৫ শতাংশ, ব্রাজিলে ৮৬ শতাংশ, রাশিয়ায় ৭৯.৬ শতাংশ। কিন্তু উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত ফ্রান্সে সুস্থতা মাত্র ৭.৫ শতাংশ। যা বিশ্বব্যাপী সংখ্যার বিচারে অন্যতম খারাপ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই মার্কিন মুলুকে চালু হয়ে গিয়েছে গণ টিকাকরণ। ফাইজার-বায়োনটেকের করোনা প্রতিষেধক জনগণের মধ্যে দেওয়ার পর আশা করা হচ্ছে বিশ্বে সবথেকে বেশি সংক্রমণের ধাক্কার মুখে পড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু আপাতত সেদেশে পরিসংখ্যানটা ঠিক কেমন? এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মার্কিন মুলুকই একমাত্র দেশ যেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে ১ কোটি। ভারতও অবশ্য এগিয়ে চলেছে সেদিকেই। কিন্তু সুস্থতার নিরীখে যেখানে ভারতে সুস্থতার হার প্রায় ৯৫ শতাংশ, সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা ৫৮.৫০ শতাংশ।

ব্রাজিল-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত ছাড়া তৃতীয় দেশ ব্রাজিল, যেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৭০ লক্ষ। বুধবার নতুন করে ৭০ হাজার ৫৭৪ জন আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তার যে নজিরে পৌঁছেছে তারা। তবে স্বস্তির খবর, ইতিমধ্যে সেদেশের প্রায় ৬০ লক্ষ লোক সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। যার ফলে সুস্থতার পরিসংখ্যান ৮৬ শতাংশ।

রাশিয়া-বিশ্বের সবথেকে বড় দেশ রাশিয়া করোনা আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে গোটা বিশ্বে রয়েছে চার নম্বরে। ইতিমধ্যে যেখানে ২৭ লক্ষ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তবে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ২২ লক্ষের বেশি। অর্থাৎ সুস্থতার পরিসংখ্যানটা ৭৯.৬০ শতাংশ। করোনা প্রতিষেধক তৈরির লড়াইয়ে বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন এনেছিল রাশিয়াই। তাদের স্পুটনিক ফাইভ প্রতিষেধকের শেষ পর্বের ট্রায়াল চলছে ভারতেও।

ফ্রান্স-করোনার ধাক্কা সবথেকে খারাপ যেসব দেশে পড়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে একেবারে নীচের দিকে রয়েছে ফ্রান্স। ফ্রান্সে যেখানে প্রায় ২৪ লক্ষের মতো লোক আক্রান্ত হয়েছেন, সেখানে সেরে ওঠার সংখ্যাটা মাত্র ১ লক্ষ ৮০ হাজার। ৭.৫০ শতাংশ সুস্থতার হার নিয়ে নীচের দিক থেকে পাঁচ নম্বরে রয়েছে ফ্রান্স।