সেরো-সার্ভের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস রোগের প্রবণতা পর্যবেক্ষণের জন্য একদল মানুষের রক্তের সিরাম পরীক্ষা করে দেখা হয়। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগগুলির সাহায্যে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের সঙ্গে আইসিএমআর এই সমীক্ষা চালায়।
গত মে মাসে এই গবেষণাকারী সংস্থা সেরো সার্ভে চালিয়েছিল। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ের সংক্রমণ নিয়ে এই সমীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতির কাজ এখনও চলছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি রাজেশ ভূষণ।
ভূষণ বৃহস্পতিবার বলেছিলেন যে, মাঝ এপ্রিলের সংক্রমণের হালহকিকত জানতে সারা দেশজুড়ে আইসিএমআর সেরো-সার্ভে চালিয়েছিল। এর প্রাথমিক ফলাফল জানানো হয়েছে। এ ধরনের সেরো-নজরজারি মূলক সমীক্ষা বা অন্য বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা পারস্পরিক পর্যালোচনার অধীন এবং এগুলির ফলাফল একত্রিত করে খতিয়ে দেখা হয়, যাতে এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে তা জানানো সম্ভব হবে।
আইসিএমআর-এর তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশের ৮৩ জেলার মধ্যে সেরো-সার্ভের প্রথম পর্যায়ের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জনগোষ্ঠীর ০.৭৩ শতাংশের কোভিড-১৯ এর সংস্পর্শে আসার প্রমাণ মিলেছে।
দিল্লিতে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) যে সেরো-সার্ভে চালিয়েছিল তাতে ২৭ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত সময়ে ২২,০০০ নুমনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই সমীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনার কাজ চলছে।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে আইসিএমআর দেশজুড়ে পরবর্তী সেরো-সার্ভের পরিকল্পনা করছে।