আমদাবাদ: নিজে প্রথমসারির এক করোনা যোদ্ধা। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই যে তিনি আপনজনেদের চিরতরে হারিয়ে ফেলবেন তা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি গুজরাত পুলিশের কনস্টেবল ধাওয়াল রাওয়াল। প্রিয়জনেদের হারিয়ে তিনি রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন।
কোভিড ১৯ রোগাক্রান্ত হয়ে ১৪ নভেম্বর মারা যান তাঁর মা। বাবাও লড়াই করছিলেন এই ভাইরাসের সঙ্গে। সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু বাবাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে পারেননি ধাওয়াল। মাকে হারানোর দুদিন পরে বাবাকেও কেড়ে নেয় করোনা। দুদিনের ব্যবধানে বাবা-মাকে হারিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই কনস্টেবল। কিন্তু তাঁর জন্য আরও খারাপ খবর অপেক্ষা করছিল। এর তিনদিনের মধ্যে নিজের দাদাকেও হারান তিনি। করোনায় সংক্রমিত হয়ে ধাওয়ালের দাদা ভর্তি ছিলেন শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকদের শত চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকেও বাঁচানো যায়নি। এভাবে মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে বাবা-মা-দাদাকে হারিয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ধাওয়াল রাওয়াল। তাঁর উদ্বেগ বাড়িয়েছে হাসপাতালে মোটা অঙ্কের বিল। কী ভাবে সেই বিল মেটাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না তিনি।
করোনার থাবা যে কতটা কষ্টদায়ক হতে পারে, ধাওয়ালের পরিজন হারানোর ঘটনা সেটাই ফের সামনে এনে দিল।
উৎসবের মরশুমে অনেকেই করোনা বিধি মেনে চলা নিয়ে অতটা সতর্ক নন। মাস্ক পরা, দূরত্ব বিধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে অনেকেই খানিক ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়ে চলছেন। রাস্তায় ভিড় বাড়ছে। বাজার দোকানে মানুষ অনেক সময়ই ততটা সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছেন না। অথচ ধাওয়াল রাওয়ালের মতো বহু পুলিশকর্মী সামনের সারিতে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। ফলে সকলে সতর্ক থাকলে করোনা সংক্রমণের হার কম হবে। কিন্তু মানুষ সেদিকে অনেক সময়ই নজর দিচ্ছেন না।