মুম্বই: নাগপুরে গোমাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে মারধর করার নিন্দায় সরব হল শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি। বিজেপি অবশ্য এটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবি করেছে।


শিবসেনা মুখপাত্র মনীষা কায়ান্ডে বলেছেন, ‘গোমাংস নিয়ে যাচ্ছেন সন্দেহে লোকজনকে মারধর করা শুরু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। এবার সেটা আমাদের প্রগতিশীল রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। আরও খারাপ ব্যাপার হল, আরএসএস-এর ঘাঁটিতে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা চলতে থাকলে সারা দেশে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী গোরক্ষকদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও তারা কীভাবে সেটা উপেক্ষা করছে? আমাদের মনে হচ্ছে এর পিছনে প্রচ্ছন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। অমরনাথ যাত্রীদের হত্যা করা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে মোদী সরকারের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

মনীষা আরও অভিযোগ করেছেন, গত তিন বছরে মহারাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সবচেয়ে অবনতি হয়েছে। মহারাষ্ট্রে পূর্ণ সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দরকার। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়ণবীসের হাতেই এখন স্বরাষ্ট্র দফতর রয়েছে। এর ফলে কোনও লাভ হচ্ছে না।

মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রধান অশোক চবন বলেছেন, দেশে ২৭ জনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে বিষয়টি গুরুতর হয়ে উঠছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে, কেউ প্রধানমন্ত্রীর কথায় গুরুত্ব দিচ্ছে না। সংসদের বাদল অধিবেশন এবং বিধানসভার অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে সরব হবে কংগ্রেস। সরকারকে জবাব দিতেই হবে।

এনসিপি মুখপাত্র নবাব মালিক বলেছেন, গুজরাত ও হরিয়ানার পর এবার মহারাষ্ট্রের পালা। মুখ্যমন্ত্রী নাগপুরের বাসিন্দা। ফলে ঘটনার গুরুত্ব আরও বেশি। মুখ্যমন্ত্রী কি নিশ্চিত করতে পারেন, এই ঘটনা আর ঘটবে না? মুখ্যমন্ত্রীর উচিত বিজেপি ও আরএসএস কর্মীদের গোমাংস ও মহিষের মাংসের পার্থক্য বোঝানো। মহিষের মাংস যে নিষিদ্ধ নয়, সেটাও বলা উচিত।

বিজেপি মুখপাত্র নিরঞ্জন শেট্টি বলেছেন, ‘আমরা এই ঘটনার নিন্দা করছি। প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেও এই ধরনের লোকেদের মাথায় বিষয়টি ঢোকানো যাচ্ছে না। তবে কেউ এটিকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি বলে দাবি করতে পারে না। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কোনও দলই এই ঘটনাকে সমর্থন করে না। কাউকেই মারার অধিকার নেই অভিযুক্তদের। ওরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারত। আইন আইনের পথে চলত।’