নয়াদিল্লি: গোরক্ষার নামে স্বঘোষিত গো-প্রেমীদের হিংসা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ মানেনি তিন রাজ্য রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ সরকার, এই অভিযোগ জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তুষার গাঁধী। এ ব্যাপারে আজ ওই তিন রাজ্যের বক্তব্য চাইল সর্বোচ্চ আদালত।
ওই তিন রাজ্য শীর্ষ আদালতের গত ৬ সেপ্টেম্বরের নির্দেশ পালন করেনি বলে অভিযোগ করেন মহাত্মা গাঁধীর প্রপৌত্র। তাঁর হয়ে সওয়াল করে সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইন্দিরা জয়সিংহ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ওই তিন রাজ্যে হিংসা ছড়ানো হয়েছে গোরক্ষার নামে।
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ৩ রাজ্যকে নোটিস দিয়ে ৩ এপ্রিলের মধ্যে জবাব পাঠাতে বলে। বেঞ্চ জানায়, তারা তুষার গাঁধীর আগের মূল রিট পিটিশনটির সঙ্গেই আদালত অবমাননার অভিযোগের পিটিশনটির শুনানি করবে।
তুষার গাঁধী তাঁর আগের জনস্বার্থ পিটিশনে বলেছিলেন, গোরক্ষার নামে পাহারাদারি রোধে সব সরকারকে যাবতীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হোক। কংগ্রেস নেতা তেহসিন পুনাওয়ালাও একই ধরনের একটি পিটিশন পেশ করেছিলেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বরের নির্দেশে শীর্ষ আদালত সব রাজ্যকে বলে, গোরক্ষার অজুহাতে হিংসা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে সব জেলায় নোডাল অফিসার হিসাবে নিয়োগ করতে হবে পদস্থ পুলিশকর্তাদের। গোরক্ষকরা যাতে এমনটা দেখাতে না পারে যে, তারা যা বলবে, সেটাই আইন, সেজন্যও দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের হিংসা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে, একথা জানিয়ে রাজ্যগুলিকে জেলায় জেলায় নির্দিষ্ট টাস্ক ফোর্সও গড়তে বলে শীর্ষ আদালত। গোরক্ষকদের বাড়াবাড়ি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানিয়ে মুখ্য সচিবদেরও রিপোর্ট দিতে বলা হয়।
তখন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, তারা জনতার আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার মতো কোনও ঘটনা অনুমোদন করে না।