নয়াদিল্লি ও কলকাতা:  কেরলে হিংসার ঘটনা দিয়ে সিপিএম ও বিজেপি সদস্যদের বাকযুদ্ধ ঘিরে উত্তাল হল সংসদ। সিপিএমকে আক্রমণ করে গতকাল কয়েকজন বিজেপি সাংসদের আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে লোকসভায় সোচ্চার হলেন সিপিএম সদস্যরা। গতকাল জিরো আওয়ারে বিজেপির কয়েকজন সদস্য কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, সীতারাম ইয়েচুরি ও সিপিএমকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। জিরো আওয়ারে প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে প্রতিবাদে সোচ্চার হন বাম সাংসদরা। সিপিএম দলনেতা পি কুরুণাকরন প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। বিজেপি সদস্যরা পাল্টা সিপিএম সাংসদদের বক্তব্যের বিরোধিতা করতে শুরু করেন। শুরু হয় যায় দুই পক্ষের উত্তপ্ত কথাকাটাকাটি।


করুণাকরণ সংসদের নিয়ম উল্লেখ করে বলেন, বিজেপি সদস্যরা এমন কোনও ব্যক্তির নামে মন্তব্য করতে পারেন না, যিনি সভায় উপস্থিত নেই।

কিন্তু শাসক দলের সাংসদদের চেঁচামেচিতে করুণাকরনের কথা চাপা পড়ে যায়। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য সভা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য মুলতুবী হয়ে যায়।

সভা ফের শুরু হলে অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন করুণাকরনকে প্রসঙ্গটি ফের উত্থাপনের অনুমতি দেননি। এর প্রতিবাদে ওয়েলে নেমে পড়েন সিপিএম সাংসদরা। শাসক দলের ‘চাপের কৌশলে মাথা নত না করতে’ তাঁরা অধ্যক্ষকে বলেন।

এরপর অধ্যক্ষ ফের করুণাকরনকে বলার সুযোগ দেন। তিনি বলেছেন, রাজ্যে হিংসার ঘটনা বন্ধ করতে আরএসএস, বাম সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন। হিংসার বলি হয়েছেন অনেক বামকর্মীও।

করুণাকরন বলেন, তাঁদের দলের সাধারণ সম্পাদক ইয়েচুরির ওপরও হামলা হয়েছে।

অধ্যক্ষ বিজেপি সাংসদদের সভাকে ‘কুরুক্ষেত্রে’ পরিণত না করতে বলেন। তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিতর্কের পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।