নয়াদিল্লি: আরজেডি-র সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন নিয়ে জেডি-ইউ-র অভ্যন্তরীন মতবিরোধও প্রকাশ্যে চলে এলে। দলের সাংসদ আলি আনওয়ার আনসারি প্রকাশ্যে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। আনসারি রাজ্যসভার সদস্য। তিনি বলেছেন, বিজেপির সঙ্গে দলের হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না।তিনি বলেছেন, যে কারণে বিজেপির সঙ্গে জেডি-ইউ-র জোট ভেঙে গিয়েছিল, সেই কারণ এখনও বহাল রয়েছে। আনসারি বলেছেন, সুযোগ পেলে তিনি দলে এ বিষয়ে তাঁর মতামত জানাবেন।

আনসারি মুখ খুলেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দল ঐক্যবদ্ধ রাখাটা নীতীশের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

সম্প্রতি তেজস্বী যাদবকে নিয়ে আলোচনার জন্য দলের বৈঠকে অনেক নেতাই ফের বিজেপির হাত ধরার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিধায়ক তথা নীতীশের মন্ত্রিসভার সদস্য বীজেন্দ্র যাদব বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠনের ব্যাপারে দলকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জনতা লালু ও নীতীশকে ভোট দিয়েছিলেন। এই জোট ভাঙা হলে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। নীতীশের দলের ১৮ জন বিধায়ক সংখ্যালঘু ও যাদব। তাঁদের মধ্যে একজন পুনমও বীজেন্দ্রর মতোই লালু প্রসাদের থাকার পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন। গতকাল বিধায়কদের সঙ্গে নীতীশের বৈঠকের ঠিক আগেও পুনম দেবী প্রকাশ্যেই আরজেডি-র সঙ্গে জোটের পক্ষে থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন।

জেডি-ইউ-র প্রবীণ নেতা উদয় নারায়ণ চৌধুরীও নীতীশের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আরজেডি-র সঙ্গে জোট চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন বলে জানা গেছে।

এসবের মধ্যেই সবার প্রশ্ন শরদ যাদব কী করবেন? তিনি বরাবরই লালুর সঙ্গে জোট ভাঙার বিরোধিতা করে এসেছেন। গতকাল আরজেডি-র সঙ্গে নীতীশের সম্পর্ক ছেদের ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শরদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।