নয়াদিল্লি: জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী’ তকমা দেওয়া নিয়ে ভারতের দাবিতে ক্রমাগত বাধা দেওয়ার জন্য এদেশে চিনা কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে একই ধরনের বাধাসৃষ্টি করা উচিত কেন্দ্রের। এমনটাই মনে করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়মসেবক সংঘ (আরএসএস) অনুমোদিত সংগঠন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ(এসজেএম)-এর সহ-আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন জানান, পুলওয়ামার কাপুরুষোচিত হামলা দেশের বিবেকে আঘাত হেনেছে। এই পরিস্থিতিতে সেই সব দেশের আর্থিক লাভের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত যারা প্রত্যক্ষ বা কৌশলে সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এটা সকলেই জানে চিনা সরকার পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড তথা জইশ প্রধান মাসুদকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী’-র তকমা দিয়ে ভারতের দাবির সামনে ক্রমাগত বাধাসৃষ্টি করে চলেছে। ফলত, এখন সরকারের উচিত ভারতে ব্যবসায়িক ফায়দা তোলা চিনা কোম্পানিগুলির কাছে একইরকম বাধাসৃষ্টি করা।
পাকিস্তানকে দেওয়া ‘মোস্ট ফেভরড নেশন’ তকমা প্রত্যাহার এবং সেই দেশের পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক কর কয়েকগুন বাড়িয়ে দেওয়া সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন মহাজন। তবে, একইসঙ্গে যোগ করেন, ভারতের উচিত নয় চিনা কোম্পানিগুলিকে নিজ তথ্য সরবরাহ করা। কারণ, ভবিষ্যতে তথ্যই হবে নতুন জ্বালানি।
মহাজন দাবি করেন, গত ২ বছরে ভারতে বিভিন্ন চিনা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট, ই-কমার্স কোম্পানি এবং অন্যান্য অ্যাপের রমরমা বেড়েছে। দেশের সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে এবং বহু নাগরিকও এধরনের অবাঞ্চিত অ্যাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। এধরনের একাধিক অ্যাপ ইন্দোনেশিয়া সহ বিভিন্ন  দেশে নিষিদ্ধ। সাম্প্রতিককালে, ভারতও চিনা অ্যাপ ‘টিক টক’-কে নিষিদ্ধ করেছে।
মহাজনের মতে, ভারতে চিনা টেলিকম সংস্থাগুলির অপারেশনস-এর সামনে পাঁচিল তোলা উচিত কেন্দ্রের। ইতিমধ্যেই ওই সংস্থাগুলি বহু সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। এখন, এদের রোখা প্রয়োজন।