নয়াদিল্লি: কেন্দ্র দাবি করছে, দেশের সীমান্তগুলি দিয়ে চোরাচালান ও পাচার অনেকটাই কমেছে। কিন্তু, কেন্দ্রী পরিসংখ্যানই বলছে উল্টো কথা। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে দেশের সীমান্তে মাদক, অস্ত্র ও গরু-চোরাচালানের ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে গ্রেফতারির সংখ্যাও।


কেন্দ্রের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভূটান, নেপাল এবং মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে অপরাধমূলক কার্যকলাপ অনেকটাই বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সালে সীমান্তপার অস্ত্র, মাদক  ও গরু পাচার-চোরাচালানের সংখ্যা ছিল ১৯,৫৩৭। সেই জায়গায় ২০১২ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩,১৯৮। ২০১৭ সালে তা আরও বেড়ে হয় ৩১,৫৯৩।


চিন সব বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ভারতের। এই সীমান্তে পাহারা দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধীনস্থ বিভিন্ন আধা-সামরিক বাহিনী। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে, ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে গ্রেফতারির ঘটনাও। তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে এই মর্মে ১,৫০১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে তা বেড়ে হয় ১,৮৯৩। ২০১৭ সালে এই গ্রেফতারির সংখ্যা হয় ২,২৯৯।


কেন্দ্রীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, অধিকাংশ চোরাচালান ও গ্রেফতারির ঘটনাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হয়েছে। ভারতের সঙ্গে ৪ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১৮,১৩২টি চোরাচালানের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে এই সংখ্যা যথাক্রমে দাঁড়ায় ২১,৭৭১ এবং ২৯,৬৯৩।


তবে চোরাচালানের সংখ্যা বাড়লেও, বাংলাদেশ সীমান্তে গ্রেফতারির ঘটনা কমেছে। ২০১৫ সালে যেখানে ৬৫৬ জন গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেখানেই পরের দু বছরে গ্রেফতারির সংখ্যা যথাক্রমে দাঁড়ায় ৭৫১ ও ৬৩৩। অন্য আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলির মধ্যে ২০১৫ সালে নেপাল-সীমান্ত দিয়ে ১,১৫৮টি অস্ত্র, মাদক ও গরু চোরাচালানের ঘটনা ঘটেছে। পরের দু বছরে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১,১৭৩ ও ১,৫৬৩।


বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সংখ্যার বিচারে চোরাচালানের সময় ২০১৫ সালে ১,৬৩,১৮০টি গরু আটক করা হয়। ২০১৬ সালে সংখ্যাটি ছিল ১,৭১, ৮৬৯। ২০১৭ সালে তা হয় ১,৩০,৮০৬।