নয়াদিল্লি: কাশ্মীর সমস্যার ‘মূলে’ রয়েছে সীমান্তপার সন্ত্রাস। যার জন্য গোটা অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। নাম না করে পাকিস্তানকে একহাত নিল ভারত। একইসঙ্গে, চিনকেও মনে করিয়ে দিল, কাশ্মীর নিয়ে কোনও তৃতীয়পক্ষের মধ্যস্থতার কোনও অবকাশ নেই।
এদিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে বলেন, ইস্যুটির (কাশ্মির সমস্যার) নেপথ্য কারণ হল ভারত ও জম্মু ও কাশ্মীরবাসীদের ওপর চলা সীমান্তপার সন্ত্রাসের কালো ছায়া। বলা ভাল, একটি বিশেষ জায়গা থেকে উৎপন্ন হওয়া সন্ত্রাস গোটা অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এতে ভারত ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি প্রবিবেশী রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নিহত হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানিকে সমর্থন জানানোর জন্য পাকিস্তানকে একহাত নেন তিনি।
বুধবার, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও চিনের মধ্যে বিবাদ মেটাতে মধ্যস্থতার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল চিন। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, ভারত-পাক সম্পর্কের উন্নতিতে ‘গঠনমূলক ভূমিকা’ নিতে তৈরি তারা। তিনি যোগ করেন, কাশ্মীর এখন আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ফলে, সেখানে মধ্যস্থতার জন্য প্রস্তুত বেজিং।
একদিন পরই, কেন্দ্র জানিয়ে দিল, এই সমস্যাটি ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। নাম না করে চিনকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বাগলে জানিয়ে দেন, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান নিয়ে ভারতের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়নি। তিনি বলেন, আমরা দ্বিপাক্ষিক পরিবেশে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা রাজি।