নয়াদিল্লি: নোট বাতিলের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ৫০ দিন সময় চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই সময়সীমা আর হাতেগোনা কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হচ্ছে। কিন্তু নগদ জনিত সমস্যা নতুন বছরেও চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রকের সূত্র উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজার থেকে পুরানো নোট তুলে নেওয়ার পর এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে নতুন নোট বাজারে এখনও আসেনি। তাই ব্যাঙ্ক ও এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আপাতত বহালই থাকবে।

অর্থমন্ত্রকের এক পদস্থ আধিকারিক বলেছেন, ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমা তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। ব্যাঙ্কগুলিতে নতুন নোট যোগান দেওয়ার ব্যাপারে এখনও সময় প্রয়োজন। সেজন্য ব্যাঙ্ক থেকে নিয়ন্ত্রিত টাকা তোলার ব্যবস্থা বজায় রাখা প্রয়োজন।

যদিও এরই মধ্যে আশার রুপোলি রেখাও দেখা যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি অ্যাকাউন্ট পিছু ব্যাঙ্ক থেকে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২৪ হাজার টাকা এবং এটিএম থেকে  দিনে ২,৫০০ টাকা তোলা যায়। অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, এই সীমা সামান্য বাড়ানো হতে পারে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)-র সাম্প্রতিকতম তথ্য অনুযায়ী, ১১.৮ লক্ষ কোটি পুরানো নোট ব্যাঙ্কগুলিতে জমা পড়েছে। সিস্টেমে যোগান দেওয়া হয়েছে ৪ লক্ষ কোটি নতুন নোট। কিন্তু এরপরও নোটের স্বল্প যোগানের কারণে নিয়ন্ত্রিত টাকা তোলার চাহিদা মেটাতেও হিমশিম খাচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি।

সরকার অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, যত পরিমাণ পুরানো নোটে যত নগদ জমা পড়বে ততটাই আর নতুন নোটে বাজারে ফিরবে না। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রধান অরুন্ধতি ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে, নগদের সংকটের নতুন বছরের ফেব্রুয়ারির আগে সুরাহা হওয়ার সম্ভাবনা কম।