নয়াদিল্লি: ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গাঁধীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের অন্দরে তুমুল শোরগোল। যার জেরে কংগ্রেসের নবীন বনাম প্রবীণের লড়াই কার্যত প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
দলের সর্বক্ষণের সভাপতি, সংঘবদ্ধ নেতৃত্ব-সহ বেশ কিছু দাবি তুলে ২৩ জন কংগ্রেস নেতা গত কাল চিঠি দিয়েছিলেন। ওই চিঠির পরেই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী পদ ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আজ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। তার আগে ওই চিঠি নিয়ে উষ্মা গোপন করেননি রাহুল। তিনি বলেছিলেন, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার যখন সঙ্কটে, তখন এই ধরনের চিঠি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ না-করে, ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা করা উচিত। এতে বিজেপির হাত শক্ত হবে। বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত করেই এমন চিঠি লেখা হয়েছে।
রাহুলের এই মন্তব্যের পরেই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন কংগ্রেসের বেশ কিছু প্রবীণ নেতা। কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল টুইটারে দলের অন্তর্বিরোধের কথা উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, ‘‘রাহুল গাঁধী বলেছেন, আমাদের সঙ্গে বিজেপির আঁতাঁত রয়েছে। গত ৩০ বছরে বিজেপির সমর্থনে একটি কথাও বলিনি। রাজস্থানে হাইকোর্টে কংগ্রেসকে রক্ষা করেছি। মণিপুরে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দলের হয়ে লড়েছি। তবু বিজেপির সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ!’’ টুইটার থেকে ‘কংগ্রেস নেতা’ কথাটি সরিয়েও নিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ওই টুইটটি তিনি মুছে দেন। আর একটি টুইট করে সিব্বল বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধীর সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলেছি। উনি বলেছেন, এই ধরনের মন্তব্য করেননি। তাই আগের টুইট প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’’



আর এক প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘‘ বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো।’’
রাহুলের সুরেই সুর মিলিয়ে নবীন ব্রিগেডের নেতা দিব্যা স্পন্দনাও এক হাত নিয়েছেন যাঁরা চিঠি লিখেছেন তাঁদের। তিনি বলেন, ‘শুধু সংবাদমাধ্যম জানানো হচ্ছে তাই নয়, ওয়ার্কিং কমিটির প্রতিটি মিনিটের বক্তব্যও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তা সংবাদে প্রকাশিত হচ্ছে। এটা বিস্ময়ের।’’