নয়াদিল্লি:  বিয়িং হিউম্যানের লেখক মাইক স্যাসো একসময় বলেছিলেন বিদ্রোহের সবচেয়ে সঠিক জবাব হল আবার শুরুতে, যা কিছু আদি তাতে ফিরে যাওয়া। সম্প্রতি দিল্লিতে বেড়ে চলা দূষণ ও অতিরিক্ত গাড়ির প্রভাবে বিধ্বস্ত ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে একটু অব্যাহতি দিতে কেজরীবাল সরকার দিল্লির রাজপথে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করেন। কিন্তু সেই নীতির বিরোধিতায় সংসদে চলা দ্বিতীয় পর্যায়ের বাজেট অধিবেশনে বিজেপির প্রতিনিধিরা গাড়ি নয়, অন্য ধরনের যানবাহন ব্যবহার করা শুরু করেছেন। তাঁরা সংসদে যাচ্ছেন ঘোড়ার গাড়ি, সাইকেলে চেপে।


বিজেপি সাংসদ রাম প্রসাদ শর্মা, জোড়-বিজোড় নীতির বিরোধিতায় ঘোড়ায় চড়ে সংসদে আসেন। সম্প্রতি জোড়-বিজোড় নীতি সফল হওয়ায়, রাম প্রসাদ শর্মা অভিযোগ করেছেন এগুলো সবই আপ সরকারের নাটক। তাঁর দাবি এই নাটক দিল্লি সরকার অবিলম্বে বন্ধ করুক। এই জোড়-বিজোড় নীতির ফাঁসে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। এই নাটক অবিলম্বে বন্ধ করে, দিল্লির রাস্তায় গাড়ি চলতে দিক সরকার।

এবিষয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসেরও এক সাংসদ। তাঁর দাবি তাঁদের মাত্র পাঁচটি বাস দিয়েছে কেজরীবাল সরকার। সেখানে কীভাবে ৭৫০জন সাংসদ যাতায়ত করবেন। তাঁদের বক্তব্য একমাত্র বড়লোকদেরই দুটি গাড়ি থাকতে পারে। তাঁদের একটি গাড়িই, সেটা জোড় নম্বরের। তাঁর প্রশ্ন তাহলে বিজোড় সংখ্যার গাড়ি যেদিন রাস্তায় চলবে, তিনি সেদিন কী করবেন? তাই তাঁরা ঘোড়ায় চড়ে আসছেন। কারণ ঘোড়া ঘাস খায়, কোনও দূষণ ছড়ায় না। বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়াড়ি আবার সংসদে এসেছেন সাইকেলে চেপে। তবে সবাই যে এই নীতির বিরোধিতা করেছে, তা সঠিক নয়। বিজেপিরই আবার অনেক সাংসদ এর সমর্থনে সাংসদের বাসে চেপে গন্তব্যে এসেছেন।

এই নীতি লঙ্ঘন করলে দুহাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে লঙ্ঘনকারীর। তবে রবিবার এধরনের কোনও নিয়ম লাগু হবে না।