চেন্নাই ও নয়াদিল্লি: ঘূর্ণিঝড় ‘ভরদা’-র ক্ষয়ক্ষতির পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্র।
সোমবার দুপুরে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ভরদা’। স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক থাকায়, খুব বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে, প্রচুর সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে এদিন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে পরিস্থিতির খোঁজ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। জানা গিয়েছে, রাজনাথকে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান দিয়েছেন তামিলনাড়ু মুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভম এবং অন্ধ্র মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু।
ফোনে দুই রাজ্যকেই পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর জন্য দুই রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ বজায় রেখে চলেছে কেন্দ্র।
ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা কোন পথে করা হচ্ছে, তা সবিস্তারে রাজনাথকে জানান পনীরসেলভম। তিনি বলেন, প্রতি জেলায় প্রশাসনিক কর্তাদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রভাবিত অঞ্চলগুলিতে রাজ্যের আমলাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যের তদারকি করতে।
দুর্গতদের উদ্ধারে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৫টি টিম তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, তৈরি রাখা হয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। তামিলনাড়ু থেকে ৮ হাজার এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মানুষকে নিরাপদে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের ওপর চোখ রেখেছে সামরিক বাহিনীও। বিপর্যয় পরিস্থিতির মোকাবিলায় বায়ুসেনা, নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনীকে তৈরি রাখা হয়েছে। নৌ বাহিনীর প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক ডিকে শর্মা জানিয়েছেন, প্রভাবিত মানুষকে নিরাপদে উদ্ধার করে আনার জন্য শিবালিক ও কদমত নামে নৌবাহিনীর দুটি জাহাজকে পাঠানো হয়েছে। জাহাজে রয়েছে জল, খাবার ও কম্বল। রয়েছে চিকিৎসক ও ডুবুরিদের দল।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফেও একই কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং প্রয়োজন মেটাতে তারা তৈরি। ইতিমধ্যেই ৬টি জাহাজ, এবং আরও ৬টি প্যাট্রল ভেসেলকে বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই ও করাইকলে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, বাহনীর চারটি ডর্নিয়ার নজরদারি বিমান এবং ২টি চেতক হেলিকপ্টারও তৈরি রাখা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে প্রচুর নৌকোর বন্দোবস্তও করা হয়েছে। এক আধিকারিক জানান, তাঁরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছেন, যাতে যে কোনও প্রয়োজনে সময় বিলম্ব না করে উদ্ধারকার্যে নামা যায়।