চেন্নাই ও নয়াদিল্লি: সোমবারই তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়বে সাইক্লোন ‘ভরদা’। এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন আবহবিদেরা। গোটা তামিলনাড়ু জুড়ে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
রবিবার সকালে চেন্নাইয়ের ৪৪০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ছিল সাইক্লোনের কেন্দ্র। আবহবিদেরা জানান, ধীরে ধীরে তা পশ্চিমদিকে এগোচ্ছে। চেন্নাইয়ের সাইক্লোন ওয়ার্নিং সেন্টারের অধিকর্তা এস বালচন্দ্রণ জানান, সোমবার দুপুর নাগাদ চেন্নাইতে আছড়ে পড়তে পারে ‘ভরদা’।
আবহবিদেরা জানিয়েছেন, এর ফলে, চেন্নাই সহ তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে, থাকবে তীব্র গতির ঝোড়ো হাওয়ার দাপট।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, উত্তর তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী অঞ্চল, দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ, পুদুচেরিতে মূলত প্রভাব বিস্তার করবে ‘ভরদা’। অনুমান, ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
শুধু তাই নয়। ভরদা যখন আছড়ে পড়বে, তখন সমুদ্র মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলেও জানা গিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ষাঁড়াষাঁড়ি বানের সময় যত উঁচু ঢেউ হয়, ‘ভরদা’-র ফলে তার থেকেও প্রায় ১ মিটার উঁচু ঢেউ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাইক্লোনের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে অবগত করেছে মৌসম ভবন। দিল্লির আবহাওয়া দফতরের কর্তারা তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের প্রশাসনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ বজায় রাখছেন। আগামী ৪৮-ঘণ্টা তিন রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে।
সাইক্লোন মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। পাশাপাশি, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তিনটি দলকে চেন্নাই, তিরুভাল্লুর এবং কাঞ্চিপুরমে মোতায়েন করা হয়েছে। এক-একটি দলে রয়েছে ৩৮ জন কর্মী।
গোটা তামিলনাড়ুতে হাই-অ্যালার্ট জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। যে কোনও উদ্ধারের জন্য তৈরি রয়েছে নৌসেনাও। এদিন বাহিনীর তরফে জানানো হয়, ত্রাণকার্য এবং উদ্ধারকার্যের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে জাহাজগুলিকে।