টপ ম্যানেজমেন্টে এই পরিবর্তনের কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন রতন টাটা।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহের শুরুতে শেয়ার বাজার বন্ধ হতেই একটা বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা। আর এটাই হইচই ফেলে দিয়েছে বাণিজ্যিক মহলে। দেশের অন্যতম বড় কর্পোরেট হাউস টাটা সনসের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সাইরাস মিস্ত্রীকে।
৪৮ বছরের সাইরাস মিস্ত্রীর জায়গায় অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন ৭৮ বছরের রতন টাটা।
এই চারমাসের মধ্যে নতুন চেয়ারম্যান খোঁজার জন্য ৫ সদস্যের একটি সার্চ কমিটি তৈরি করে দিয়েছে টাটা সনসের বোর্ড অফ ডিরেরক্টরস। এই কমিটিতে রয়েছেন
- রতন টাটা
- বেণু শ্রীনিবাসন
- অমিত চন্দ্র
- রণেন সেন
- লর্ড কুমার ভট্টাচার্য
কিন্তু মাত্র চার বছরের মাথায় কেন সরানো হল সাইরাস মিস্ত্রীকে? টাটা গোষ্ঠীর তরফে এ প্রসঙ্গে কোনও কারণ নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। যদিও, বাণিজ্যমহলে জল্পনা, যেভাবে টাটার লোকসানে চলা কোম্পানিগুলির গুরুত্ব কমিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র লাভজনক সংস্থাগুলির দিকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছিলেন সাইরাস, সেটাই হয়ত ভালভাবে নেয়নি টাটা গোষ্ঠীর বোর্ড অফ ডিরেক্টরস।
টাটা গোষ্ঠীর মূল ধারক কোম্পানি হল টাটা সনস
আর এককভাবে এই টাটা সনসের সবচেয়ে বড় শেয়ার হোল্ডার হল শাপুরজি পালনজি গোষ্ঠী। টাটা সনসে তাদের ১৮.৩৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বাকি প্রায় ৬৬ শতাংশ রয়েছে টাটাদের ট্রাস্টের। শাপুরজি পালনজি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান পালনজি মিস্ত্রী। তাঁর দুই ছেলে শাপুর মিস্ত্রী এবং সাইরাস মিস্ত্রী।
তাই শাপুরজি পালনজি গোষ্ঠী এককভাবে সর্ববৃহত শেয়ার হোল্ডার হওয়ায়, ২০১২ সালে রতন টাটার জায়গায় সাইরাস মিস্ত্রীকে টাটা সনসের চেয়ারম্যান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়।
প্রায় ২১ বছর ধরে চেয়ারম্যান হিসাবে টাটা গোষ্ঠীকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পর আলবিদা জানানো হয়েছিল রতন টাটাকে। আর তাঁর মতো বিজনেস আইকনের জুতোয় পা গলানো মোটেও সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু, মাত্র চার বছরের মাথায় সামান্য সময়ের জন্য হলেও ফিরতে হল সেই রতন নাভাল টাটাকেই।
সূত্রের খবর, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে টাটা গোষ্ঠীর রাজস্বও
১০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ১০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়।
এই প্রেক্ষাপটে সরতে হল সাইরাস মিস্ত্রীকে। গোষ্ঠীর নাম যেহেতু টাটা, তাই আচমকাই এই খবর বাণিজ্যি মহলে হইচই ফেলে দিয়েছে। কারণ নিয়েও জল্পনা চলছে। মঙ্গলবার শেয়ার বাজার খোলার পর এর কী প্রভাব সেখানে পড়ে, সেদিকেই নজর বণিক মহলের।