নয়াদিল্লি: দাদরিকাণ্ডে নয়া মোড়। নিহত আখলাকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মাংস আদতে গরুরই ছিল। নতুন ফরেন্সিক পরীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।


মামলার শুনানিতে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা মথুরার ভেটরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমাল হাসবেন্ড্রির প্রকাশিত ওই রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে বলা হয়, বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা ওই মাংসটি আদতে গরুর।

এর আগে গ্রেটার নয়ডার একটি সংস্থার প্রকাশিত ফরেন্সিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ওই মাংসটি ছাগলের।

এদিকে, নতুন ফরেন্সিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ পাওয়ার পর সেখানকার সাম্প্রদায়িক হিংসার আবহাওয়া নতুন করে চড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই, বিশাহরা গ্রামের বাসিন্দারা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের জামিনের দাবি তুলতে শুরু করেছে।

তবে, মথুরা ল্যাবের রিপোর্টের সঙ্গে এই মামলার কোনও সম্পর্ক নেই বলে পাল্টা দাবি করেছেন আখলাকের আইনজীবী। তিনি জানান, এটা হত্যার মামলা। ফলে, মাংস কীসের তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

আখলাকের পরিবারও নতুন ফরেন্সিক রিপোর্টকে খারিজ করেছে। তাঁদের মতে, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই মামলার অপব্যাখ্যা করছে বলেও অভিযোগ করেন দানিশ।

প্রসঙ্গত, গরু-নিধন ও বাড়িতে গরুর মাংস মজুত করার অভিযোগে গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ৫২ বছরের মহম্মদ আখলাককে হত্যা করে কয়েকজন গ্রামবাসী।

উত্তেজিত জনতা আখলাক ও তাঁর ছেলেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে পেটায়। মারাত্মক জখম আখলাক মারা যান। কোনওক্রমে বেঁচে যান তাঁর ছেলে দানিশ।

এই ঘটনায় প্রাক্তন বিজেপি নেতার পুত্র ও আত্মীয় সহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়।