চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকপত্র নেচার রিভিউ ইউরোলজিতে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শুক্রাণুর মান খারাপ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। ডিএনএ আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে। এইমসের অ্যানাটমি বিভাগের চিকিৎসক রিমা দাদা জানিয়েছেন, ‘একটি সুস্থ শিশুর জন্মের জন্য শুক্রাণুতে জেনেটিক উপাদানের মান ভাল হওয়া দরকার। ইডিওপ্যাথিক বন্ধ্যাত্বের কারণ হল শুক্রাণুর ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। সেটা হলে শিশুর স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে।’
এই চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, মানুষের শরীরে যত কোষ থাকে, তার মধ্যে শুক্রাণুই অক্সিডেটিভ চাপের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিবেশ দূষণ, বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক, তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ, সংক্রমণ, ধূমপান, মদ্যপান, মেদবাহুল্য ও ফাস্টফুডের ফলে অক্সিডেটিভ চাপ তৈরি হয়। তাই যাঁরা এই ধরনের জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত, তাঁদের সাবধান হওয়া উচিত। জীবনযাত্রা বদল করলে এবং যোগাসন শুরু করলে শুক্রাণুর মান বাড়বে।