তিনি বলেছেন, সাইক্লোনে ঘরবাড়ির কোনও চিহ্ন নেই। তবে পাকা শৌচাগারটি অক্ষত রয়েছে। দু বছর আগে পাওয়া শৌচাগারই এখন আমার একমাত্র আশ্রয়। জানি না, আর কতদিন তার মধ্যে কাটাতে হবে!
‘ফণী’ তাঁর জীবন সম্পূর্ণ তছনচ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষিরোদ। এও জানিয়েছেন, তাঁর নতুন করে বাড়ি তৈরির ক্ষমতা নেই। তাই ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের জন্য সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ অর্থ না পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে অপেক্ষাই করতে হবে। বলেছেন, সরকারি বাবুরা ক্ষতিপূরণের অর্থ না দেওয়া পর্যন্ত টয়লেটই হবে আমার ঘর। শৌচাগারে বাস করছি, তাই প্রাকৃতিক কাজকর্ম সারতে হচ্ছে খোলা জায়গাতেই। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা বিজু পাক্কা ঘর স্কিমে বাড়ি তৈরির অর্থ চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সেই অনুদান আমার কপালে জোটেনি। সরকারি সহায়তায় কাচা মাটির বাড়িটাকে পাকা করে ফেলতে পারলে সাইক্লোনের ঝাপটা থেকে হয়তো বেঁচে যেতাম। কিন্তু তা হওয়ার নয়।
এদিকে জেলা গ্রামীণ উন্নয়ন এজেন্সির প্রজেক্ট ডিরেক্টর দিলীপ কুমার পান্ডা বলেছেন, আমাদের গোচরে এটা আনা হয়েছে যে, বিধ্বংসী সাইক্লোনের ধাক্কায় দেরাবিস ব্লকে একটি পরিবার শৌচাগারে বাস করছে। দ্রুত পরিবারটিকে সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ অর্থ ও আলাদা আবাসনের জন্য নির্ধারিত অর্থ দেওয়া হবে।