বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের মাঞ্চানাবালে গ্রামের তিনটি সেলুনই ১ বছরের বেশি বন্ধ। কারণ শুনলে অবাক হতে হয়। দলিতদের চুল কাটা নিয়ে অশান্তির জেরে এই সেলুন তিনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


মাঞ্চানাবালে গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে শছয়েক দলিত, বাকি হাজারচারেক উচ্চবর্ণ। দলিতদের অভিযোগ, বৈষম্যের কারণে তাঁদের চুল কাটতে দিচ্ছেন না উচ্চবর্ণ ভোক্কালিগা জাতের মানুষ। বাধ্য হয়ে চুল দাড়ি কামাতে তাঁদের যেতে হচ্ছে চিক্কাবাল্লাপুর শহরে। কয়েকজন দলিত যুবক এই বৈষম্যের প্রতিবাদ করেন কিন্তু তাতে কান দেননি উচ্চবর্ণরা। সেলুন মালিকরা ঝামেলায় জড়ানোর থেকে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া নিরাপদ মনে করেন। ফলে ২০১৫-র অগাস্ট থেকেই এ গ্রামের তিনটি সেলুনই বন্ধ।

জানা গিয়েছে, জেলা ডেপুটি কমিশনারের উপস্থিতিতে এ ব্যাপারে গ্রামে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সেলুন খোলেনি একটিও।

উচ্চবর্ণের সদস্যরা অবশ্য দাবি করেছেন, অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে, এই গ্রামে কোনও বৈষম্যের ঘটনা ঘটেইনি। রাস্তার ধারের খাবারের দোকান থেকে স্কুল- সব কিছুতেই দলিত ও উচ্চবর্ণের সমান অধিকার বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান একজন দলিত। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির এতটুকু উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ। উল্টে দলিতদের মধ্যে বয়স্ক নাগরিকরাও উচ্চবর্ণের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন।

জেলা আধিকারিকরা তাই ঠিক করেছেন, স্থানীয় যাঁরা সেলুন খুলতে আগ্রহী তাঁদের সাহায্য করা হবে। চুল কাটার জিনিসপত্র দেওয়া হবে, বলা হবে কারও সঙ্গে যেন বৈষম্য না করা হয়।