ইন্দৌর: ১ অগস্ট থেকে ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছে তিন তালাক। তার কিছুদিনের  মধ্যেই মধ্যপ্রদেশের বারবানি গ্রামে তাৎক্ষণিক তিল তালাকের শিকার হলেন ২১ বছরের উজমা আনসারি। মেয়ের কান্নায় স্বামীর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটেছে। সে কারণে, পরিবারের সামনেই স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে স্বামী। থানায় অভিযোগ দায়ের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর।


মুসলিম উইমেন (প্রোটেকশন অব রাইটস অন ম্যারেজ) অ্যাক্ট ২০১৯ অনুযায়ী ভারতে তাৎক্ষণিক তিন তালাক নিষিদ্ধ হয়েছে। ১ অগস্ট থেকে তা গোটা ভারতে কার্যকর হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মাথায় তিন তালাকের শিকার ওই মুসলিম মহিলা। উজমা আনসারি নামে মহিলার অভিযোগ, “আমার স্বামী আমাকে তাৎক্ষণিক তিন তালাক দিয়েছে। তারপর আমার মাকে ডেকে আমাকে নিয়ে যেতে বলে। আমার ছোট্ট মেয়ে এবং আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।”


২১ বছরের ওই মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন, “মেয়ে অসু্স্থ ছিল,  সারা রাত কেঁদেছে। মেয়ের কান্নায় স্বামীর ঘুমের ব্যাঘাত হয়। আমার স্বামী আমাকে মেয়েকে মেরে ফেলতে বলে। এক কথা, দু কথায় আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময়ই ঘরে আমার শ্বশুর ও দেওর আসে। সবাই মিলে আমাকে মারতে শুরু করে। বিছানা থেকে আমার মেয়েকে ফেলে দেওয়া হয়। ৪ অগস্ট এই ঘটনা ঘটেছে। ওই দিনই আমাকে তালাক দেয় আমার স্বামী।” উজমার অভিযোগ, তার শ্বশুরবাড়ি প্রায়ই তাঁকে পণের জন্যও মারধর করত।


জেলা পুলিশ আধিকারিক এ ঘটনার কথা মেনেছেন, ইন্দৌর পুলিশে মামলা হস্তান্তরের কথা জানিয়েছেন। যদিও রাওজি বাজার থানার পুলিশ এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ পায়নি বলেই জানিয়েছে। তবে এ ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন রাওজি বাজার থানার ওসি সুনীল গুপ্তা।


প্রসঙ্গত, নতুন আইনে তিন তালাকের অপরাধে দোষীকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিতে পারে আদালত।