মুম্বই: এর আগে নিলামে কিনে প্রকাশ্যে জ্বালিয়ে দিয়েছেন দাউদ ইব্রাহিমের গাড়ি। এবার তার মুম্বইয়ের ভেন্ডি বাজারের সম্পত্তি নিলামে কিনে সেখানে ঝাঁ চকচকে গণ শৌচাগার বানাবেন স্বামী চক্রপানি। তিনি অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার সভাপতি। ১৪ নভেম্বর নিলামে তোলা হবে ১৯৯৩-এর মুম্বই সিরিয়াল বিস্ফোরণ মামলার আসামী দাউদের ওই সম্পত্তি। ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানে গা ঢাকা দিয়ে আছে সে দেশের প্রশাসনিক সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে।
একাই কিনছেন না, আরও অনেককে ওই সম্পত্তি কিনতে সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন চক্রপানি। নিলামে সম্পত্তির সর্বোচ্চ যে দর উঠবে, তার ১০ শতাংশ দেবেন তিনি।
দাউদের ওই সম্পত্তিতে খাবারের দোকান চলছে। হোটেল রৌনক আফরোজ নামে দোকানটি দিল্লি জাইকা নামেও পরিচিত। চক্রপানির ঘোষণা, সেটি কিনে সেখানে সবার নিখরচায় ব্যবহারের জন্য অত্যাধুনিক টয়লেট বানাব। গ্যাংস্টারের সম্পত্তিতে টয়লেট তৈরি করে সন্ত্রাসবাদ খতম হল, এটাই বোঝাতে চাই।
স্বচ্ছ ভারত মিশন কর্মসূচির আওতায় ওই টয়লেট উদ্বোধনে তিনি ডাকবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশকে।
২০১৫-র নিলামে দাউদের সবুজ হুন্ডাই অ্যাকসেন্ট গাড়িটি ৩২ হাজার টাকায় কিনে সবার চোখের সামনে গাজিয়াবাদে জ্বালিয়ে দেন তিনি। চক্রপানির দাবি,ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর মস্তিষ্ক দাউদের গাড়ি জ্বালিয়ে তাকে এই বার্তাই তিনি দিতে চেয়েছিলেন যে, ভারতে তাকে কেউ আর ভয় পায় না! তিনি বলেন, ১৯৯৩-এ দাউদ, তার বাহিনী মুম্বইয়ে যা করেছে, তার পাল্টা দিচ্ছি, গাড়ি পুড়িয়ে বুঝিয়ে দিতে চাই, ভারতের তার নামে ভীতির অন্ত্যেষ্ঠি হয়ে গেল! তারপর তাকে নাকি আন্ডারওয়ার্ল্ডের লোকজন ফোনে হুমকি দেয়, বার্তা পাঠায়। তার অভিযোগের ভিত্তিতে জুনেইদ, রবিনসন নামে দুজন সহ দাউদ গ্যাংয়ের ৬ জনকে গ্রেফতারও করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল।
চক্রপানির আইনজীবী-বন্ধু অজয় শ্রীবাস্তবও দাউদের নাগপাড়ার একটি সম্পত্তি কিনেছেন। সেটির মালিকানা তিনি চক্রপানিকে হস্তান্তরিত করবেন। সেখানে গরিব রোগীদের নিখরচায় চিকিত্সার ব্যবস্থা করে দাউদের সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।