সরকারি সূত্রে খবর, মাছধরার ওই নৌকায় ৬ জন পাকিস্তানি নাবিক ছিলেন। নিজেদের জলসীমার মধ্যেই মাছ ধরছিলেন তাঁরা। কিন্তু ঢেউ তাঁদের জাহাজ থেকে দূরে স্যার ক্রিক এলাকায় ভারতীয় জলসীমায় নিয়ে আসে। তারপর ৬ নাবিক সহ ওই নৌকা মাঝসমুদ্রে উল্টে যায়।
নৌকা হারিয়ে যাওয়ার খবরে পাকিস্তানের মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সি প্রধান যোগাযোগ করেন দিল্লিতে, সংশ্লিষ্ট ভারতীয় আধিকারিকের সঙ্গে। সে রাতেই সমুদ্রে বেশ কয়েকটি জাহাজ নাবিয়ে তল্লাশি শুরু করে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।
স্যার ক্রিক এলাকা তন্নতন্ন করে খোঁজার সময় এ দেশের মাঝধরা নৌকাগুলির চোখে পড়ে পাক নৌকাটি। খবর যায় উপকূলরক্ষীর জাহাজ আইসিজিএস সম্রাটের কাছে। উত্তাল সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয় মৃতপ্রায় ২ পাক নাবিককে। তাঁদের ওষুধপত্র দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়। বাকি ৪ জন সমুদ্রে ডুবে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই ৪ জনের দেহ উদ্ধার করে তুলে দেওয়া হয় পাকিস্তানি জাহাজ পিএনএস আলমগিরের কর্মীদের হাতে। ফিরিয়ে দেওয়া হয় প্রাণে বাঁচা ২ নাবিককেও।
সোমবার এভাবে ভারতীয়রা পাক নাবিকদের প্রাণরক্ষা করলেও সেই শুভবুদ্ধির ছিঁটেফোঁটা দেখা গেল না পাক সেনার মধ্যে। ওদিনই তাদের সেনা প্রধান জাভেদ বাজওয়া চরবৃত্তির অভিযোগে সেনা আদালতে কূলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডের কথা শোনালেন।