নয়াদিল্লি: ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি, দিল্লির চাণক্যপুরীরতে হোটেল লীলার বিলাসবহুল স্যুট থেকে উদ্ধার হয়েছিল শশী তারুরের স্ত্রী সনুন্দা পুস্করের দেহ। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানায় পুলিশ এবং তাঁর আত্মহত্যার জন্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা তিরবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ এবং ৩০৬ ধারায় অভিযোগ দায়ের করে দিল্লি পুলিশ।
স্ত্রীর ওপর নির্যাতন এবং আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা, এই দুই অভিযোগ আনা হয় তারুরের বিরুদ্ধে। যদিও এই মামলায় তারুর এখনও পর্যন্ত জামিনে ‘মুক্ত’। পুলিশ আদালতের কাছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেশ করেছে, যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বিষক্রিয়ার কারণেই ৫১ বছরের সুনন্দার মৃত্যু হয়েছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে, সুনন্দার হাতে এবং পায়ে মোট ১৫টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের তরফে আদালত-কে জানানো হয়, মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন সুনন্দা। বিশেষ সরকারি কৌশলী অতুল শ্রীবাস্তব আদালতের সামনে শশী তারুর এবং পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহর তারার সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করে। আদালতকে সরকারি কৌশলী জানান, তারুর ও তারার সম্পর্ক নিয়ে সুনন্দা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই প্রসঙ্গে, সরকারি কৌশলী সুনন্দার সাংবাদিক বন্ধু নলিনী সিংহের বয়ানও আদালতের সামনে পেশ করেন।
একটি বিবৃতিতে নলিনী সিংহ জানিয়েছেন, “সুনন্দা আমাকে ফোন করে কান্নাকাটি করছিল। তারুর ও তারার থেকে বদলা নিতে চাইছিল সুনন্দা। আমি ওকে বোঝাবার চেষ্টা করি। সংবাদমাধ্যমে মিথ্যাপ্রচার চালানো হচ্ছে, সুনন্দাকে একথাও বলেছি আমি। সুনন্দা আমায় বলে, আইপিএল-এ আমি ওকে (শশী তারুর) অনেক সাহায্য করেছি। সে, তারুর ও তারার কিছু মেসেজ পেয়েছে বলেও জানায়। সুনন্দা বাড়ি যেতে অস্বীকার করে এবং হোটেলে চলে যায়। দুজনের মধ্যে কোনও সুসম্পর্কই ছিল না।”
সরকারি কৌশলী অতুল শ্রীবাস্তব তারার ও তারুর ই-মেল চালাচালির বিষয়ও উল্লেখ করেন। শ্রীবাস্তব দাবি করেন, তারুর ই-মেল-এ তারারকে ‘মাই ডার্লিংয়েস্ট’ বলেও সম্বোধন করেছেন। যদিও তারুরের পক্ষের আইনজীবী এমন ই-মেল চালাচালির কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।