বিদর্ভ: মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের বিদর্ভে ইয়াভাতমাল জেলায় আত্মহত্যা করেছেন এক কৃষক। ফসল ফলনে ব্যাপক ক্ষতি, সঙ্গে বেড়ে চলা ঋণের বোঝাই ৫৫ বছর বয়সি ওই কৃষককে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। এমনকি সুইসাইড নোটে ওই কৃষক নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতিকেই তাঁর মৃত্যুর জন্যে কাঠগড়ায় তুলেছেন।

 

ইয়াভাতমালের ঘাটানজি তেহসিলের রাজুরওয়াদি গ্রামের ভাউরাও চাওরে, তাঁর ছ পাতার সুইসাইড নোটে স্পষ্ট লিখেছেন মাথায় বিশাল অঙ্কের ঋণের বোঝা এবং নরেন্দ্র মোদী সরকারই তাঁর মৃত্যুর জন্যে দায়ী। এরপর ওই কৃষক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হংসরাজ আহির, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবং ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়ক রাজু টোডসামের কাছে আবেদন রেখেছেন, তাঁরা যেন চাষীর পরিবারকে এবার দেখেন।

নয় একর জমির মালিক চাওরের বাজারে প্রায় ১.৪০ লক্ষ টাকার দেনা হয়ে গিয়েছিল। এদিকে তুলোর ফলনে ধাক্কা খাওয়ায়, তাঁর ঋণের বোঝা আরও বেড়ে যায়। এর আগেও একবার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ওই কৃষক। গতকাল কীটনাশক খেয়ে নেন তিনি। স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় তাঁর মৃত্যু হয়।

চাওরের পরিবারে রয়েছেন  স্ত্রী,  ১৯ বছরের মেয়ে জয়শ্রী, ১৮ বছরের ভাগ্যশ্রী, ১৭র ধনশ্রী এবং ছেলে আকাশ। ওই কৃষকের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের তরফে জানা হয়েছে, কোনও অবস্থাতেই তাঁরা শেষকৃত্যের জন্যে দেহ নিয়ে যাবেন না। তাঁদের দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ধারায় মামলা রুজু করতে হবে। তবে তাঁরা দেহ নিয়ে যাবেন।

এছাড়া ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ কোটি টাকাও দাবি করেছেন কৃষকের পরিবার। তবে বিদর্বে এই প্রথম নয়, এর আগে প্রায় একশো কৃষক ঋণজনিত কারণে আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার আগে মোদী সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল আগামী পাঁচ বছর চাষীদের রোজগার দ্বিগুণ করে দেওয়া হবে। কিন্তু সে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর চাষীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে। বর্তমানে মোদী সরকারের নীতিই চাষীদের দুরবস্থার জন্যে দায়ী, সেটা বিভিন্ন সময় কৃষকদের আত্মহত্যার ঘটনায় বারবার সামনে এসেছে।