নয়াদিল্লি: অব্যাহত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ইমপিচমেন্ট-বিতর্ক। একদিকে, ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতেই দ্বারস্থ হওয়ার তোড়জোড় করছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ ‘আত্মহত্যার সামিল’ বলে হুঁশিয়ারি দিল কেন্দ্র।


গতকালই কংগ্রেসের আনা প্রধান বিচারপতি দীপক কুমার মিশ্রর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট মোশনকে খারিজ করেন উপ-রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু। এরপরই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস।


ইমপিচমেন্টের দাবি খারিজ করায় স্বভাববতই কংগ্রেসের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ভেঙ্কায়াকে। তা সত্ত্বেও নিজের অবস্থানে অনড় ভেঙ্কাইয়া। এদিন তিনি জানান, তিনি অত্যন্ত ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


ভেঙ্কাইয়া বলেন, বাকস্বাধীনতা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু শেষে সত্যের জয় হবেই। আমার কাছ থেকে যেটা সেরা পন্থা মনে হয়েছে, সেটাই অবলম্বন করেছি। অনেকের মনে হয়েছে আমি সিদ্ধান্ত তাড়াহুড়োতে নিয়েছি, কিন্ত, আমি জানি অত্যন্ত ভাবনাচিন্তা করেই নেওয়া হয়েছে।


গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট নোটিস আনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সাত বিরোধী দল। দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে পাঁচটি ‘অশোভন আচরণের’ অভিযোগ আনে। পেশ হওয়ার ২ দিনের মধ্যেই সোমবার দাবি খারিজ করেন ভেঙ্কাইয়া। তিনি জানান, যে অভিযোগ তোলা হবে সেগুলি না যুক্তিযোগ্য না গ্রহণযোগ্য।


নাইডুর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে কংগ্রেস অভিযোগ করে, অত্যন্ত তাড়াহুড়ো, অবৈধভাবে এবং ভুলে ভরা। দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই সিদ্ধান্তর বিরুদ্ধে তারা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবে।


এদিকে, কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকে ‘আত্মহত্যার সামিল’ বলে কটাক্ষ করেছেন অরুণ জেটলি। এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা কংগ্রেসের একটা আত্মহত্যামূলক পদক্ষেপ। ফেসবুকে তিনি বলেন, নিজের এক্তিয়ারের মধ্যে সংসদ সর্বোচ্চ। তার সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে যাওয়া যায় না।