আমদাবাদ ও নয়াদিল্লি: ফণী অতীত। এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী বৃহস্পতিবার, তা দেশের পশ্চিম প্রান্তের গুজরাত উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
বেশ কিছুদিন ধরেই আরব সাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। গত ২ দিন ধরে শক্তি সঞ্চয় করে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস ১৩ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে তা গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। মৌসম ভবনের সতর্কতা, আগামী ২৪-ঘণ্টায় তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ‘বায়ু’।
সতর্কতায় বলা হয়েছে, সম্ভবত তা উত্তরদিকে এগিয়ে পোরবন্দর ও মাহুবার মধ্যবর্তী বেরাবল ও দিয়ু অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ঘণ্টায় ১১০-১২০ থেকে শুরু করে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ‘বায়ু’-র।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বেরাবল উপকূল থেকে বর্তমানে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে ‘বায়ু’।  ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ অঞ্চলে আগামী ১৩ ও ১৪ জুন প্রবল বৃষ্টি ও ১১০ কিমি গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
‘বায়ু’-র জন্য আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছে গুজরাত প্রশাসন। রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বিশেষ করে, কচ্ছ থেকে দক্ষিণ গুজরাত উপকূল-- গোটা উপকূলবর্তী অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। আগামী কয়েকদিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বন্দরগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, কী করে বিপর্যয় মোকাবিলা করা হবে এবং কী কী আগাম প্রস্তুতি অবলম্বন করা যায়, তার জন্য ওড়িশা প্রশাসনের থেকে সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সম্প্রতি, ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। গুজরাত সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জনান, ইতিমধ্যেই সকল সরকারি আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে। মন্ত্রীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ তদারকি করতে।
আগাম প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে সেনা, নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।