এই স্টিং অপারেশনের ভিডিও শেয়ার করেছেন দীপিকা। সেই ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ‘অ্যাসিড বিক্রি না হলে কেউ সেটা ছুঁড়তে পারত না। আমি একটি গাড়িতে দু’জন চিত্রগ্রাহক ও ‘ছপাক’-এর অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ছিলাম। আমরা মুম্বইয়ের বিভিন্ন দোকানে যাই। আমাদের দলের কেউ কলের মিস্ত্রি, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ ছাত্র, কেউ মদ্যপ, কেউ সাধারণ গৃহবধূ, আবার কেউ গুণ্ডা সেজে দোকানে যায়। ওদের মধ্যে কয়েকজন গিয়ে কারও চামড়া পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে কড়া অ্যাসিড চায়। বেশিরভাগ দোকানদারই ক্রেতার অ্যাসিড কেনার কারণ জানতে চাননি। শুধু একজন দোকানদারই অ্যাসিড বিক্রি করার আগে পরিচয়পত্র দেখতে চান। ছাত্র সেজে যাওয়া ওই ব্যক্তি দোকানদারকে বলেন, পরিচয়পত্র ছাড়াই অ্যাসিড বিক্রি করুন। তবে সংশ্লিষ্ট দোকানদার পরিচয়পত্র ছাড়া অ্যাসিড বিক্রি করেননি। দু’জন বিক্রেতা প্রশ্ন করেন, সংশ্লিষ্ট ক্রেতা কারও মুখে অ্যাসিড ছুঁড়তে চান কি না। ইতিবাচক উত্তর পাওয়ার পরেও অবশ্য তাঁরা অ্যাসিড বিক্রি করেন। আমাদের দল একদিনেই ২৪ বোতল অ্যাসিড সংগ্রহ করে।’
অ্যাসিড বিক্রির ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ক্রেতার বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে, পরিচয়পত্র দেখাতে হবে, ঠিকানা জানাতে হবে, সংশ্লিষ্ট বিক্রেতার কাছে অ্যাসিড বিক্রির লাইসেন্স থাকতে হবে এবং অ্যাসিড বিক্রির কথা পুলিশকে জানাতে হবে। কিন্তু তারপরেও বেআইনিভাবে অ্যাসিড বিক্রি এবং অ্যাসিড আক্রমণ থামছে না।