নয়াদিল্লি: কর্তব্য পালন করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করা বা অঙ্গহানির ফলে অক্ষম হয়ে পড়া সেনা জওয়ানদের সন্তানদের পড়াশোনার পিছনে মাসিক অর্থ সহায়তায় ১০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রককে অনুরোধ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের।

এই স্কিম প্রাথমিক ভাবে চালু হয় ১৯৭২ সালে। এর আওতায় শহিদ বা শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে পড়া সেনাকর্মীদের ছেলেমেয়েদের স্কুল, কলেজ ও অন্য পেশাদার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার খরচ পুরোপুরি মকুব করে দেওয়ার কথা।
গত বছর ১ জুলাই সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, এই স্কিমে সহায়তার পরিমাণ মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি হবে না। এতে নিরাপত্তাবাহিনীর তিন শাখায় অসন্তোষ তৈরি হয়। প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঊর্ধ্বসীমা তুলে নিতে অনুরোধ করেছেন অর্থমন্ত্রককে। আশা করি ইতিবাচক সমাধানসূত্র বেরবে।
সেনা, নৌ ও বায়ুসেনা প্রধানদের নিয়ে গঠিত চিফস অব স্টাফ কমিটিও প্রতিরক্ষামন্ত্রককে চিঠি দিয়ে ওই ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার ফলে প্রায় ২৫০ ছাত্রছাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত মাসে প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ ভাম্বরে রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার ফলে বছরে ৩.২০ কোটি টাকা বাঁচবে সরকারের।