নয়াদিল্লি: ডিগ্রি বিতর্কে স্মৃতি ইরানিকে সমন জারির আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লির আদালত। নির্বাচন কমিশনে পেশ করা হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যাপারে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া পিটিশনে তাঁকে সমন পাঠানোর আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীকে তলব না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। স্মৃতিকে ‘অহেতুক হেনস্থা করতেই’ পেশ হয়েছে ওই পিটিশন, জানিয়েছে আদালত।

স্মৃতির বিরুদ্ধে পিটিশনটি পেশ করে সমন পাঠানোর আবেদন জানিয়েছিলেন আহমের খান নামে জনৈক ফ্রিল্যান্স লেখক। তিনি দাবি করেন, ২০০৪, ২০১১ ও ২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশনে পেশ করা হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন বর্তমানে বয়নমন্ত্রী স্মৃতি, এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানানো হলেও তিনি কোনও ব্যাখ্যা, সংশোধনী দেননি। তাই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৫ এ ধারায় পেশ হওয়া অভিযোগ বিচার করে বিচারের জন্য অভিযুক্ত স্মৃতি ইরানকে তলব করা হোক।

তবে এদিন মেট্রপলিট্যান হরবিন্দর সিংহ বলেন, অভিযোগটি দায়ের করতেই প্রায় ১১ বছর বিলম্ব হয়েছে। সুতরাং অভিযুক্ততে ডেকে পাঠানোর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি এও বলেন, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার ফলে মূল সাক্ষ্যপ্রমাণই হারিয়ে গিয়েছে। সুতরাং আদালতকে এমন অসম্পূর্ণ, ধারাবাহিকতাহীন আবেদনের নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব থেকে রেহাই দেওয়া উচিত। এই মামলার কী পরিণতি হতে পারে, তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। আর স্মৃতি ইরানি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী না হলে আবেদনকারী হয়ত মামলাই করতেন না।

গত ৬ অক্টোবর আদালত জানায়, কয়েকটি বিষয়ে কিছু তথ্য, ব্যাখ্যা চাই। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে স্মৃতির পেশ করা নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু কমিশনের অফিসার শুনানির গোড়ায় আদালতকে জানান, স্মৃতি মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় শিক্ষাগত যোগ্যতা  সংক্রান্ত যেসব নথিপত্র দিয়েছেন, সেসব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।