দেরাদুন: বোর্ডিং স্কুলে গণধর্ষিতা ক্লাস টেনের ছাত্রীকে দেরাদুনের কোনও স্কুল ভর্তি নিতে চাইছে না, তার জন্য তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ কলুষিত হবে, এই কারণ দেখিয়ে। পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এসএসপি নিবেদিতা কুকরেতি জানিয়েছেন, অভিযোগ অনুসারে মেয়েটির বাবা-মা বেশ কয়েকটি স্কুলে গিয়েছিলেন মেয়েকে ভর্তি করাতে, কিন্তু কেউই রাজি হয়নি। একটি স্কুল বলেই দেয়, ওকে নিলে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হবে।
নিবেদিতা বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুজোর ছুটি চলছে বলে আমরা সোমবার সংশ্লিষ্ট স্কুলে একটি টিম পাঠাব ওদের বক্তব্য জানার পাশাপাশি এ ধরনের ক্ষেত্রে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাও খতিয়ে দেখছি। স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।
মেয়েটির বাবা-মা তাকে দেরাদুনের বাইরে কোনও স্কুলে পাঠানোর ভাবনাচিন্তা করছেন।
উত্তরাখন্ডের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান যোগেন্দ্র খান্ডুরি ধর্ষিতার প্রতি এহেন আচরণকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেছেন। কী করে ওরা মেয়েটিকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করল? মেয়েটির মেধা থাকলে না নেওয়ার কোনও কারণই থাকতে পারে না। ধর্ষণের ফলে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করা মেয়েটিকে মানবিকতার কারণে অবশ্যই ভর্তি নেওয়া উচিত ছিল।
গত ১৪ আগস্ট সাহসপুরের এক স্কুলে সহপাঠীরাই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। তবে ঘটনাটি চেপে রেখেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ, যদিও ১৭ সেপ্টেম্বর তা প্রকাশ্যে আসে। ঘটনায় অপরাধে অভিযুক্ত চার পড়ুয়া, ডিরেক্টর, প্রিন্সিপাল ও প্রশাসনিক কর্তা সহ স্কুলের ৫ জন, সব মিলিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের সুপারিশে স্কুলের সিবিএসই-র অনুমোদনও বাতিল করা হয়েছে।