ঘটনাটি উত্তরাখন্জের দেহরাদূনের। জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম সুধা। মৃতার স্বামী কমলেশ সাইনি জানিয়েছেন, পেটে যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় স্ত্রীকে নিয়ে সোমবার একটি হাসাপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা তাঁকে গর্ভাবস্থার আরও ২ মাস পরে, অর্থাৎ ৯ মাসের মাথায় দেখবেন বলে জানান। সেই সঙ্গে তাঁদের বলা হয়, রক্তাল্পতায় ভুগছেন ওই মহিলা এবং তাঁর শরীরে রক্তের প্রয়োজন। কমলেশের অভিযোগ, ‘চিকিৎসকরা ওকে ভালভাবে পরীক্ষা পর্যন্ত করেননি।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি করতে রাজি না হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই ওই মহিলা যমজ সন্তানের জন্ম দেন। দুই সন্তানকেই অবশ্য বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর ওই মহিলারও অবস্থার অবনতি হয়। তবে তাঁর জ্বর থাকায় করোনা আক্রান্ত ভেবে কোনও হাসপাতালই তাঁকে ভর্তি নেয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনি মারাই যান।
উত্তরাখন্ডের স্বাস্থ্যসচিব ছাড়াও চিফ মেডিক্যাল অফিসার ও জেলাশাসক পৃথকভাবে ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।