জাতীয় রাজধানীতে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরিস্থিতি ও এনআরসি-এনপিআর ইস্যুতে দিল্লি সরকার বিধানসভার একদিনের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছিল। কেজরীবাল বলেছেন, আমি, আমার স্ত্রী, আমার মন্ত্রিসভার সবারই নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য বার্থ সার্টিফিকেট নেই। আমাদের কী ডিটেনশন কেন্দ্রে পাঠানো হবে?
বিধানসভায় যে বিধায়করা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কারুর বার্থ সার্টিফিকেট থাকলে হাত তুলে জানাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ৭০ সদস্যের বিধানসভায় একজন বিধায়কও হাত তোলেননি।
এরপর কেজরীবাল বলেন, এই সভায় ৬৯ জন সদস্যেই বার্থ সার্টিফিকেট নেই। তাঁদেরকে কি ডিটেনশন কেন্দ্রে পাঠানো হবে?
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকালই বলেছিলেন যে, এনপিআরের জন্য কোনও নথিই দেখাতে হবে না। যে তথ্য রয়েছে, সেই তথ্যই দিলেই হবে। অন্য প্রশ্নের উত্তর না দিলেও চলবে।
দিল্লি হিংসা নিয়ে সংসদের রাজ্যসভায় বিতর্কের জবাবি ভাষণে শাহ বলেন, কোনও নথি জমা দিতে হবে না। যে তথ্য রয়েছে, তা দিলেই হবে। অন্য প্রশ্নের উত্তর না দিলেও চলবে।
শাহর এই বক্তব্যের একদিন পরই দিল্লি বিধানসভায় এনপিআর-এনআরসি বিরোধী প্রস্তাব অনুমোদিত হল।
দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই বিধানসভায় এই প্রস্তাব পেশ করেন এবং তিনি বলেন, যদি এনপিআর রূপায়ণ হয়, তাহলে তা ২০১০-র প্রক্রিয়া মেনেই করা দরকার। তিনি বলেন, এমন ঘটনা ব্রিটিশ আমলেও ঘটেনি। এটা প্রত্যেকের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সামিল।
এদিকে, রাজ্য এনপিআর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিলনাড়ু সরকারও। ইকে পালনাস্বামীর নেতৃত্বাধীন এআইএডিএমকে সরকার কেন্দ্রের কাছে একগুচ্ছ প্রশ্নের জবাব জানতে চেয়েছিল। সেই প্রশ্নগুলির জবাব না আসার পরিপ্রেক্ষিতে এনপিআর প্রক্রিয়া স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। এর মাধ্যমে এনডিএ শরিকও এনপিআর নিয়ে সংশয় প্রকাশ করল। এর আগে বিহার বিধানসভাতেও সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশ করে জানিয়েছে যে, রাজ্যে ২০১০-এর ফরম্যাটেই এনপিআর হবে।