নয়াদিল্লি: ২ বছর ধরে তার ক্ষুদ্রান্ত্রে বাসা বেঁধেছিল অসংখ্য ফিতাকৃমি। ১৪ বছরের ছেলেটির ২২ লিটার রক্ত খেয়েছে তারা।


অবশেষে সুস্থ হয়ে উঠেছে দিল্লির এই ছেলেটি। শহরের এক হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে সারিয়ে তুলেছেন।

জানা গিয়েছে, মল দিয়ে রক্ত বার হতে থাকায় অগাস্ট মাসে ছেলেটিকে পাঠানো হয় স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে। ২ বছর ধরে শরীরে আয়রনের অভাবে রক্তাল্পতায় ভুগছিল সে। নিয়মিত রক্ত দিতে হত, ২ বছরে দেওয়া হয় ২২ লিটার রক্ত। কিন্তু নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করেও তার শারীরিক সমস্যার কারণ বার করা যায়নি। চিকিৎসকরা ইজিডি করেন, করেন কোলনোস্কপি ও অন্ত্রের রেডিওগ্রাফিক স্টাডিও।

ছেলেটির হিমোগ্লোবিন কমে হয়ে যায় ৫.৮৬। মল থেকে রক্ত পড়াও বন্ধ হয়নি। শেষে চিকিৎসকরা ঠিক করেন, কদাচিৎ ব্যবহার হওয়া ক্যাপসুল এন্ডোস্কপি করবেন তাঁরা।

ক্যাপসুল এন্ডোস্কপির মাধ্যমে ভিটামিন বড়ির আকারের একটি ক্যাপসুলের ভেতরে ছোট্ট একটি ওয়্যারলেস ক্যামেরা ছেলেটির পাকস্থলীতে পাঠানো হয়। তখনই দেখা যায় তার ক্ষুদ্রান্ত্রে বাসা বেঁধেছে অসংখ্য ফিতাকৃমি, তারা তার শরীরের রক্ত চুষে খাচ্ছে।

টানা চিকিৎসার পর সেরে উঠেছে ছেলেটি, হিমোগ্লোবিন বেড়ে হয়েছে ১১। জার্নাল অফ ইনফেকশাস ডিজিজেস অ্যান্ড থেরাপির সাম্প্রতিকতম সংখ্যায় বার হয়েছে এই মেডিক্যাল কেসের কথা।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফিতাকৃমির সমস্যা এশিয়ায় বাড়াবাড়ি রকমের বেশি, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাওয়াদাওয়া করলে ও খালি পায়ে না হাঁটলে এই বিপদ এড়ানো সম্ভব।